সেপ্টেম্বরের শেষে দেশব্যাপী সমাবেশ করবে রাজনৈতিক দলগুলো

প্রকাশিত: ৩:২৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩

 

আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করতে পারে। বিশ্বব্যাপী সমন্বিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, সংকট প্রতিক্রিয়া, পরামর্শ এবং প্রতিরক্ষামূলক সমাধান দেওয়া বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা ক্রাইসিস২৪ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি সম্ভাব্য সহিংসতার কারণে সাবধানতা অবলম্বনের কথাও জানিয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, বিএনপি ও দলের সহযোগী সংগঠনগুলো আগামী ১৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর বেশিরভাগ বিভাগে ৫টি প্রতিবাদ মিছিল করার পরিকল্পনা করেছে। ১৬ সেপ্টেম্বর রংপুরের অজ্ঞাত স্থান থেকে রংপুর দিনাজপুর পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল হবে। মিছিল চলাকালীন বেশ কয়েকটি এলাকায় সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে।

আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিভাগের বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করবে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলো। মিছিল চলাকালীন বেশ কয়েকটি এলাকায় সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে।

২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম বিভাগ পর্যন্ত মিছিল করবে বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং সিলেট বিভাগেও একই কর্মসূচি হবে।

মাসের শেষ সপ্তাহের ২৬ তারিখে খুলনা বিভাগের আয়োজকরা ঝিনাইদহে সমবেত হবেন। সবশেষ ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা ও ফেনী হয়ে চট্টগ্রামে জড়ো হবে আন্দোলনকারীরা।

ক্রাইসিস২৪ বলছে, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচনের দাবিতে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এসব বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছেন বিএনপি নেতারা। এর অংশ হিসেবে বরিশাল, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি ঢাকায় মিছিলের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করবে বিএনপি। বাংলাদেশ সচিবালয়, নির্বাচন কমিশন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ভবনসহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনের সামনে অবস্থান ও অবরোধ করবে নেতা-কর্মীরা।

আগামী দিনগুলোতে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক দলের আরও জমায়েত নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন প্রতিবাদে অংশ নেবে। দলগুলোর সম্ভাব্য জমায়েতের স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজনৈতিক দলের অফিস, পুলিশ স্টেশন, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন, জাদুঘর, পাবলিক প্লেস, ক্রীড়া মাঠ, মসজিদ, প্রেস ক্লাব এবং রাস্তাঘাট। যদিও এসব কর্মসূচির ধরন পরিবর্তন হতে পারে। সাংগঠনিক সমস্যা অথবা আইন প্রয়োগকারী বিধিনিষেধের কারণে আয়োজকরা সংক্ষিপ্ত নোটিশে কোনো পরিকল্পিত কার্যক্রম বাতিল বা দেরিতে করতে পারেন।

ক্রাইসিস২৪ বলছে, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ প্রায় নিশ্চিতভাবেই এই ধরনের যে কোনো সমাবেশ পর্যবেক্ষণ করবে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পদক্ষেপ নিতে পারে। পুলিশ ও নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কর্মকর্তারা ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসাবে গণগ্রেপ্তার অথবা লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাসসহ বলপ্রয়োগ করতে পারেন। বিক্ষোভকারীরা মিছিল অথবা সড়ক অবরোধ করতে পারে। যার ফলে স্থানীয় পরিবহন সেবা ব্যাহত হতে পারে।

এমন প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে ক্রাইসিস২৪। এর মধ্যে রয়েছে- সহিংসতার সম্ভাবনার কারণে সমস্ত বিক্ষোভ এড়িয়ে চলুন। যে কোনো নিরাপত্তা বিঘ্নের প্রথম লক্ষণ দেখে অঞ্চলটি ত্যাগ করুন। রাজনৈতিক জমায়েতের স্থানগুলোর কাছাকাছি অতিরিক্ত যাতায়াত কমিয়ে দিন। সম্ভাব্য স্থানীয় ব্যাঘাতের জন্য সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন। সমস্ত সরকারি পরিবহন এবং নিরাপত্তা পরামর্শ মেনে চলুন।

রাজনীতি/আবির