‘গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়’

প্রকাশিত: ৪:৩৮ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০২৩

 

বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে তাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছে।

রোববার (৪ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্ব জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশে নতুন এসেছেন। আজকে তিনি আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বন্ধু। এখানে জাপানের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। তাদের বিনিয়োগ অনেক বড়।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালে বাংলাদেশে জাপানের প্রচুর বিনিয়োগ হয়েছে। তারা আমাদের অবকাঠামো খাতে অনেক বিনিয়োগ করেছে। একদলীয় শাসনের পরে বিএনপি যে বাংলাদেশে মুক্ত বাজার অর্থনীতি চালু করেছে, তারপর থেকে জাপানের বিনিয়োগ দেশে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। তারা দেখতে চাইবে সরকার পরিবর্তন হলে স্বাভাবিকভাবে তাদের বিনিয়োগ যেন অব্যাহত থাকে। এছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অন্যদের মতো তারাও (রাষ্ট্রদূত) অবগত আছে। বাংলাদেশে কী হচ্ছে, আগামীতে কী হতে যাচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করছেন।

জাপানের রাষ্ট্রদূতকে বিএনপির পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, তা বলা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, আইনের শাসন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়গুলোসহ সবকিছু নিয়ে তারা অবগত আছেন। তারা জানতে চাচ্ছেন আগামীতে কী হতে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচন ও বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। নির্বাচনটা কেমন হবে এগুলো সবাই জানতে চেষ্টা করছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, আমার তো মনে হয়, সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে তারা তাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছে। সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য।

যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই বিএনপি নেতা বলেন, তিনি কোথায় যাবেন কিংবা যাবেন না, এটা তার সিদ্ধান্ত। কিন্তু দেশের ১৭ কোটি মানুষ কোথায় যাবে সে সিদ্ধান্ত তো তিনি নিতে পারেন না।

রাজনীতি/আবির