২০ নভেম্বর ৫৩ শিল্প-কারখানা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১:১৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২২

এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো। বাস্তবায়নাধীন এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে ৫৩টি শিল্প-কারখানা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ নভেম্বর এসব শিল্প-কারখানাসহ আরও কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্তৃপক্ষ- বেজা।

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্প ও সেবাখাতে উন্নয়নে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে সরকার। এরইমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে ৯৭টি অঞ্চল। গড়ে উঠছে শিল্প-কারখানা।

এসব অঞ্চলে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ বিনিয়োগ করছে। পিছিয়ে নেই দেশীয় প্রতিষ্ঠানও। এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে অন্তত ২৬ বিলিয়ন ডলারের।

এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে বছরে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য উৎপাদন ও রফতানি হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ- বেজা। এছাড়া কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগও দেখছে সংস্থাটি।

বেজা নির্বাহী সভাপতি শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, “২০৪১ সালের মধ্যে ১শ’টি জোন তৈরি করবো আমরা। এসব জোনে আমাদের টার্গেট, ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান এবং ৪০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য উৎপাদন।”

ইতিমধ্যে ৫৩টি শিল্প কারখানা প্রস্তুত হয়েছে। এরমধ্যে চারটি বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০ নভেম্বর এসব কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান।

শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, “৫৩টির মধ্যে যেসব ইন্ডাস্ট্রি উদ্বোধন করা হবে তার মধ্যে রয়েছে ম্যানুফেকচারিং খাত, ফুড, ক্যামিকালস এবং প্যাকেজিং। ব্রডহেড খাতের এইসব ইন্ডাস্ট্রিগুলো ওইদিন উদ্বোধন হবে।”

এছাড়া বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীতে প্রশাসনিক ভবন, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল ও সাবরাং পর্যটন পার্কের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী।

বেজা নির্বাহী সভাপতি বলেন, “কক্সবাজারের সাবরাং ট্যুরিজম জোনে ইতিমধ্যে ৭০ জন বিনিয়োগকারী জায়গা নিয়েছে।”

পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীতে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ শেখ হাসিনা সরণী, ২৩০-কেভিএ গ্রিডলাইন ও সাবস্টেশন উদ্বোধন করবেন সরকার প্রধান।

সিলেট/আবির