সৈনিকদের দেখে রাসেল নিজেও সৈনিক হতে চাইত : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৪:০৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২২

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছোট্ট রাসেল সৈনিকদের দেখে নিজেও সৈনিক হতে চাইতো। টুঙ্গিপাড়ায় গেলে সে সমবয়সী শিশুদের জড়ো করতো। তাদের প্যারেড করাতো।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, চাচার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শিশুদের হাতে এক টাকা করে দিতো। মা ওইসব শিশুদের জন্য চকলেট-বিস্কুট নিয়ে যেতেন। এছাড়া নতুন জামা-কাপড় নিয়ে যেতেন। রাসেল সেগুলো ওই শিশুদের দিত। সেই রাসেলসহ আমার পুরো পরিবারকে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ ছোট শেখ রাসেলের জন্মদিন ও শেখ রাসেল পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব স্মৃতিচারণ করেন তিনি।

তখন যারা মানবাধিকারের কথা বলছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সময় তারা কোথায় ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার চেতনাকে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বাধাগ্রস্ত করতে যারা আইন করেছে তাদের মুখে এখন ভোট, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়।

অনুষ্ঠানে তার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৮ সালের ক্ষমতায় আসার পর থেকে তার সরকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। পরপর তিনবার সরকারে আসার কারণেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় পিতার আদর্শ অনুসরণ করেছি বলেই দেশ এগিয়ে চলছে।স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারে এসে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ শেখ রাসেল এবং যারা নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন তাদের খুনিদের বিচার করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে দেশ অভিশাপমুক্ত হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আরা যুদ্ধ চাইনা, শান্তি চাই। বিশ্বে শান্তি ফিরে আসুক। আমাদের দেশের মানুষ ভালো থাকুক।

সিলেট/আবির