একসঙ্গে জীবন দিল প্রেমিক-প্রেমিকা

প্রকাশিত: ১:১৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২২

 

পিরোজপুরের নাজিরপুরে প্রেমিক-প্রেমিকা একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউপির উত্তর কলারদোয়ানিয়া গ্রামের চানদকাঠী এলাকায়।
শুক্রবার ভোর রাতে তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে প্রেমিকার বাড়ির সামনের কবর স্থানে বসে তারা বিষপান করেন।

নিহত প্রেমিকা মরিয়া খানম ওই গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে। উপজেলার মুগারঝোর দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। আর প্রেমিক ইয়াছিন তালুকদার জেলার নেছারবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউপির উলিবুনিয়া গ্রামের মো. হাফিজ তালুকদারের ছেলে। ইয়াছিন তার বাবার সঙ্গে ধান-চালের ব্যবসা করেন। নিহতরা সম্পর্কে একে অপরের আত্মীয়।

নিহত ইয়াছিনের বাবা জানান, তার ছেলে গত ৩-৪ দিন আগে তার ফুফা মোজাম্মেল হক হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফুফাতো ভাই ছাব্বিরের সঙ্গে তার দোকানে ঘুমাতে যায়। কিন্তু গরমের কথা বলে সেখান থেকে বের হয়। রাত ৩টার দিকে ইয়াছিনের ফুফু ছাবিনা ইয়াছমিন ফোন করে জানায়, ইয়াছিন ও বাড়ির পাশের এক মেয়ে এক সঙ্গে বিষ পান করেছে।

নিহত মারিয়া খানমের মা শামীমা নাছরিন জানান, তার মেয়ে মারিয়া ওই রাতের খাবার খেয়ে ১০টার দিকে তার কক্ষে ঘুমাতে যায়। রাত ২টার দিকে বাড়ির সামনের কবর স্থান থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে ডাক চিৎকার পাই। পরে সেখানে গিয়ে মারিয়া ও ইয়াছিনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

তাদের হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রেমিকা মারিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আর পরে চিকৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক অসিত মিস্ত্রী জানান, মারিয়াকে মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আর ওই দিন ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।

নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রেমিক-প্রেমিকা একই সঙ্গে বাড়ির সামনের কবর স্থানে গিয়ে বিষ পান করে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে নিহতদের পরিবারের কেউই মুখ খুলছেন না। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সিলেট/আবির