নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:১২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে। চলমান পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।’

বুধবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সব দেশে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। এর মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর কুফল হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। তবে জনবান্ধব বর্তমান সরকার দেশের নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে। টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম চলমান থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি নিত্যপণ্যের টিসিবি, বর্তমান ও পূর্বের বাজারমুল্যের একটি তুলনামুলক চিত্র তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যমতে- গত ১ মার্চ সয়াবিন তেলের লিটার ছিল ১৭০ টাকা। তবে ৫ এপ্রিল এর মূল্য কমে হয়েছে ১৬১ টাকা ৫০ পয়সা। এ সময়ে পাম অয়েল লিটারপ্রতি ১৫৮ টাকা থেকে কমে ১৪২ টাকা হয়েছে। টিসিবি প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করেছে ১১০ টাকা করে।

মসুর ডালের কেজি গত ১ মার্চ ছিল ১২০ টাকা, তা কমে ৫ এপ্রিল হয়েছে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। এসময়ে টিসিবি বিক্রি করছে ৬৫ টাকা কেজিতে। খোলা চিনি প্রতিকেজি ১ মার্চের ৮৫ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল হয়েছে ৭৮ টাকা। এসময়ে টিসিবি বিক্রি করছে ৫৫ টাকা কেজি দরে।

ছোলার কেজি ১ মার্চের ৭৭ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল ৭২ টাকা ৫০ পয়সায় নেমেছে। এ সময়ে টিসিবি বিক্রি করছে ৫০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ ১ মার্চের ৬০ টাকা কেজি থেকে কমে ৫ এপ্রিল হয়েছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। টিসিবি বিক্রি করছে ২০ টাকা কেজি দরে।

জাতীয়/আবির