সুনামগঞ্জ-২ আসনে নৌকার হাল ধরতে চান ডক্টর সামছুল হক চৌধুরী

প্রকাশিত: ৩:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০২২

জাতীয় নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুর পর অপেক্ষাকৃত রাজনীতিসচেতন নির্বাচনী এলাকা হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখন অনেকটাই শৃঙ্খলাহীন। গত কয়েক বছর যাবৎ তার স্ত্রী ড. জয়া সেনগুপ্তা সেখানে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই সংসদ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ায় উন্নয়নমূলক কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দিরাই-শাল্লাবাসী এখন প্রশ্ন হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনে সুরঞ্জিতের এই আসনটির হাল কে ধরবেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিই বা কোন পথে এগোবে, তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে দিরাই-শাল্লায়। সম্প্রতি রাজনীতিতে জাতীয় নির্বাচনের আলাপচারিতা শুরু হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে, এবার সুরঞ্জিতের দিরাই-শাল্লার কাণ্ডারি কে?

তবে এই সংকটকালে সুনামগঞ্জ-২ দিরাই-শাল্লা আসনে নৌকার হাল ধরতে চান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাবেক ছাত্রনেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সদস্য, যুক্তরাজ্য জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি তরুন রাজনীতিবীদ ডক্টর সামছুল হক চৌধুরী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুনামগঞ্জ-২ দিরাই-শাল্লা নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, সু্স্হ রাজনীতির আদর্শ, সৎ- যোগ্য -নিষ্ঠাবান, গরীব দুঃখী ও মেহনতি মানুষের বন্ধু, তরুণ সমাজ সেবক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডক্টর সামছুল হক চৌধুরী।

ডক্টর সামছুল হক চৌধুরী জানান, সুনামগঞ্জ-০২ আসনে গত তিন টার্মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ পদের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি শেখ হাসিনার নির্দেশকে মেনে নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান এবং নৌকাকে বিজয়ী করতে নিষ্টার সাথে কাজ করেন।

তিনি পারিবারিকভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক। তাই ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে এই আদর্শের পথে আমার যাত্রা শুরু হয় অতীতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং ১-১১ শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগের লড়াকু সৈনিক হিসেবে অধ্যাবধী দেশেও প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্টায় কাজ করেছেন।

ছাত্রজীবনের পর থেকে পারিবারিক প্রয়োজনে দেশের বাহিরে অবস্থান করলেও সেখানে থেকেও তার রাজনৈতিক তৎপরতা থেমে থাকেনি। এলাকার মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন সড়ক নিমার্ণসহ স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরের উন্নয়নে কাজ করেছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কর্মকান্ডে ছাত্রজীবন থেকে দীর্ঘ প্রায় ৩৪ বৎসর যাবৎ আওয়ামী রাজনীতি ও বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সংগঠনের সাথে অতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

আগামীতে দিরাই-শাল্লাবাসীকে সাথে নিয়ে বর্তমান সরকারের গ্রামকে আধুনিক নগর সুবিধা প্রদানে দুই উপজেলার প্রতিটি গ্রামকে শহরে রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন। এছাড়াও তিনি কৃষি নির্ভর এই দুই উপজেলার কৃষকদের আধুনিক কৃষকে তৈরী এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ও কৃষককে প্রযুক্তিবান্ধব করার পরিকল্পনাকে এই বিনিয়োগের আওতায় আনার জন্য মহাপরিকল্পনাও রয়েছে তার।

ডক্টর সামছুল হক চৌধুরী গরিব মেহনতি মানুষের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে রাজনীতিতে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। সুনামগঞ্জ (০২) দিরাই-শাল্লার সকল জনগনকে তিনি প্রতিবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। কোভিড-১৯ সংকটকালে তিনি দিরাই-শাল্লাসহ দেশে এবং বিদেশে এমনকি মালেশিয়াতে অনেক কর্মহীন বাংলাদেশীদেরকে খাদ্য সহায়তারক অনেক অসহায় হতদরিদ্র গরিব মানুষকে সাহায্য করেছেন। তিনি জগদল ইউনিয়নের আলহাজ্ব আব্দুল ওহাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অবৈতনিক প্রধান শিক্ষক, দিরাই-শাল্লার উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ, বহু স্কুল, মাদ্রাসা ও আর্থ-সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে স্হানীয় জগদল ইউনিয়নের হাসপাতালের ডাক্তার নার্সসহ জনবলের ব্যবস্হা করেন এমনকি বহুল প্রতিক্ষিত দিরাই শেখ রাশেল মিনি স্টেডিয়াম, দিরাই এবং শাল্লা উপজেলায় কারিগরি কলেজ স্হাপনের আবেন করেছেন যাহা এখন প্রকৃয়াধীন। এ ছাড়া প্রায় তিন কুটি টাকা ব্যয়ে স্হানীয় ধীত পুর থেকে পুকিডর ভায়া দৌলত পুর হয়ে কামরীবীজ পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা করনের জন্য সরকার থেকে ব্যাবস্থা করেছেন। ইতিমধ্যে এই কাজের টেন্ডার হয়েছে হেমন্তে কাজ শুরু হবে।

একজন জনপ্রতিনিধি না হয়েও দিরাই-শাল্লাবাসীর জনগনের মনকে জয় করেছেন তার কাজ ও সততা দিয়ে। তিনি সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদে আগুয়ান বজ্র কন্ঠে তিনি প্রতিবার তিনি অন্যায়কে রুখে দিয়েছেন। তিনি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পরম বন্ধু হিসেবে পরিচিত। কৃষকদের সুখ দুঃখে পাশে থেকে সমাধান করে যাচ্ছেন তাদের সমস্যা। ডক্টর সামছুল চৌধুরী নিজের পকেটের টাকা দিয়ে সর্বদা দিরাই-শাল্লার অসহায় মানুষদের সেবা করে যাচ্ছেন তাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিক হিসেবে পরিচিত ডক্টর সামছুম হক চৌধুরী।

সিলেট/আবির