সুনামগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষনা করার দ্বাবী; ডক্টর সামছুল হক চৌধুরী

প্রকাশিত: ৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২২

নিজস্ব সংবাদঃ

অবিলম্বে সুনামগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষনা করার দ্বাবী জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য ডক্টর সামছুল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন আজ শুভ নববর্ষ ১লা বৈশাখ। এবার সুনামগঞ্জ জেলার অধিকাংশ এলাকায় আনন্দঘন পরিবেশে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে নববর্ষ উদযাপনের কোন আনন্দ নেই। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের এবং বেরীবাঁধ গুলি সটিক সময়ে না বাধার কারনেই এবার বৈশাখ আসার আগেই অধিকাংশ হাওরগুলো শতভাগ ফসলহানি ঘটে গেছে। নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন ভাটি বাংলার কৃষকরা। তাই অবিলম্বে সুনামগঞ্জ জেলার ক্ষতিগ্রস্ত হাওর অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষনা করার দ্বাবী জানিয়েছেন।

ভাটি অঞ্চলে প্রতি বছরই বেরীবাধ নির্মাণের জন্য কোটি কোটি টাকা সরকার ব্যয় করে। বেরীবাধ নির্মাণের জন্য দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত লোকজন তাদের পছন্দের লোকদের থেকে উৎসুকের বিনিময়ে নাকী পি আই সি গুলি পাইয়ে দেওয়া হয় যার কারনে রীতিমত কাজ হয় না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

কর্তৃপক্ষ কেন স্থায়ী ভাবে টেকসই বেরীবাধ নির্মাণের জন্য সরকারকে সুপারিশ বা অবগত করে না, যার কারনে প্রতিবছর বেরীবাঁধ নির্মাণে সরকারের অনেক টাকার অপচয় হয় আর এতে করে একশ্রেনীর লোক যেনতেন করে বেরীবাঁধ নির্মাণ করে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। আর একটু পানি আসলেই কৃষকের অতি কষ্ঠের ফসল পানিতে তলিয়ে যায়।

ভাটি অঞ্চলের কৃষকরা সারা বছর এই একটি ফসলের আয় নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আর এখন যদি ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে ফসলি জমি তলিয়ে যায় তবে এই করুন পরিণতির দায় নিবে কে?

যেখানে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছেন সেখানে দূর্নীতি র মাধ্যমে ফসল রক্ষা বাঁধের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। অনতি বিলম্বে বেরীবাঁধ গুলি রক্ষায় দ্রুত ব্যাবস্থা নিন ভবিষ্যতে স্থায়ী ভাবে টেকসই বেরীবাধ নির্মাণের জন্য জোর দ্বাবী জানান।

তিনি আরো বলেন এবারের ১লা বৈশাখে আমাদের প্রত্যয় হোক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াবার, তাদের বাঁচার সংগ্রামে সহমর্মী হবার