সুনামগঞ্জে অবিরাম বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে জেলার সব নদীর পানি। ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জের প্রধান নদী সুরমা বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে ভাটির জনপদে তৃতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার লক্ষাধিক মানুষ।
ঢল ও বৃষ্টির কারণে সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ষোলঘর পয়েন্টে একরাতেই সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৭ সেন্টিমিটার।
আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল ৬টায় সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানায় সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের তথ্যমতে, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল নেমে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী নদী, ধোপাজান, যাদুকাটা ও পাটলাই নদী এবং খাসিয়ামার, চেলা নদী দিয়ে দ্রুত বেগে পানি প্রবাহিত হয়ে জেলার প্রধান নদী সুরমার বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এছাড়া পানি বেড়েছে হাওরে।
জানা যায়, বুধবার (১০ জুলাই) সকাল থেকেই জেলাজুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। ওইদিন রাত থেকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। পরদিন বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে বাড়তে থাকে জেলার সব নদ নদীর পানি। এই দিন সন্ধ্যা ৬টায় সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো। তার পরে মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত নদীর পানি বেড়েছে ৩৭ সেন্টিমিটার। এতে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় ফের বন্যায় পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার শরিফুল ইসলাম বলেন, পানি কমার আগেই আবার পানি বাড়ছে। রাস্তাঘাট সবকিছু থেকে পানি মাত্র নেমেছিলো কিন্তু আজ আবার দুইহাত পানি বেড়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মঈনুল আহমেদ বলেন, গত তিন থেকে বৃষ্টির জন্য কাজ কাম পাচ্ছি না। বন্যার পানির জন্য এখনও বাসায় ঢুকতে পারিনি। এর মধ্যে আবার পানি বেড়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতে বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। যার ফলে জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে।
সিলেট/আবির
প্রধান সম্পাদকঃ আজিজুল হক চৌধুরী
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আনোয়ারুল হক রুবেল
বার্তা সম্পাদকঃ সুজন আহমদ