জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, ৫৪ দিন নিখোঁজ থাকার পর একজন নাগরিকের শারীরিক ও মানসিক বিপর্যস্থ অবস্থায় রাষ্ট্রীয় নির্মম আচরণ প্রমাণ করেছে সাংবাদিকের নয়- রাষ্ট্রের হাতে হাতকড়া পরানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মে) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য প্রদান করেছেন।তিনি বলেছেন, ৫৪ দিন নিখোঁজ থাকার পর একজন নাগরিকের শারীরিক ও মানসিক বিপর্যস্থ অবস্থায় রাষ্ট্রীয় নির্মম আচরণ প্রমাণ করেছে সাংবাদিকের নয়- রাষ্ট্রের হাতে হাতকড়া পরানো হয়েছে। একজন নাগরিকের নিখোঁজ হওয়া, অপহরণের শিকার হওয়া রাষ্ট্রের দায়। কিন্ত রাষ্ট্র সে দায় বহন না করে নাগরিককে অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করার প্রয়াস কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে কারা সীমান্তের ওপারে নিয়ে গেলো… কোথায় রাখলো কি ধরনের নির্যাতন সইতে হয়েছে তার কোন তদন্ত না করে নিজ বাসভূমিতে ফিরে আসায় অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেফতার এবং পিঠমোড়া করে হাতকড়া পরিয়ে সশস্ত্র পাহারায় আদালতে নেয়ার দৃশ্য উপনিবেশিক চরিত্রের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ, এটা কোন স্বাধীন দেশের চরিত্র হতে পারে না।
জেএসডি সভাপতি বলেন, সাবেক এ যুদ্ধাবস্থায় বা অপহরণের শিকার হলে নিজ দেশে ফেরার পাসপোর্ট কীভাবে পাবে আর নিজ দেশে কীভাবে অনুপ্রবেশকারী বলা হয়… এসবের দায় রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে।
বিবৃতিতে তিনি চারটি দাবি জানিয়েছেন। এগুলো হলো:
১.শফিকুল ইসলাম কাজলসহ অপহরণ নিখোঁজ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
২. যারা মানসিক এবং শারীরিক বিপর্যস্থ একজন নাগরিকের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করেছে, সংবিধান লংঘন ও আইন বহির্ভূত কাজ করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
৩. অপহরণ থেকে ৫৪ দিন পর মুক্তি পাওয়া একজন সাংবাদিক রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য কতটুকু হুমকি যে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা জরুরি ছিলো তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
৪. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অর্থ্যাৎ নির্বতনমূলক এই কালো আইন বাতিল করতে হবে ও সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
আ স ম আবদুর রব রাষ্ট্রের এসব নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সাংবাদিকসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান সম্পাদকঃ আজিজুল হক চৌধুরী
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আনোয়ারুল হক রুবেল
বার্তা সম্পাদকঃ সুজন আহমদ