সংরক্ষিত আসনের চিঠিতে স্পষ্ট হবে স্বতন্ত্রদের অবস্থান

প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪

 

দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন সামনে রেখে মঙ্গলবারের মধ্যেই নির্বাচিত রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের চিঠি দেবে নির্বাচন কমিশন। জানতে চাওয়া হবে, তাদের আসনওয়ারি বা জোট ভিত্তিক অবস্থান সম্পর্কে। একইসঙ্গে কমিশন বলছে, রাজনৈতিক দল বা জোটগুলো সংরক্ষিত আসনে অতিরিক্ত প্রার্থী মনোনয়ন দিলে ভোটাভুটি হবে।

৩০ জানুয়ারি বসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। আইন অনুযায়ী, প্রথম অধিবেশনেই নির্বাচনে জয়ী দল বা জোটগুলোর পাওয়া আসনের ভিত্তিতে ৫০টি সংরক্ষিত আসন বণ্টন করা হয়। সাধারণত প্রতি ছয় আসনের বিপরীতে কোনো দল বা জোট একটি সংরক্ষিত আসন পেয়ে থাকে।

সে হিসাবে সংরক্ষিত নারী আসনে কারা কত আসন পাবেন: আওয়ামী লীগ ২২৩ আসনের বিপরীতে পাবে ৩৭টি আসন,
জাতীয় পার্টি ১১ আসনের বিপরীতে পাবে ২টি আসন, স্বতন্ত্র জোট গঠনের শর্তে ৬২ আসনের বিপরীতে পাবে ১০টি আসন। কল্যাণ পার্টি ১টি আসন পাওয়ায় সংরক্ষিত নারী আসন পাচ্ছে না দলটি।

নির্বাচন কমিশন বলছে, সংরক্ষিত আসন পেতে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা চাইলে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হতে পারেন। অথবা স্বতন্ত্ররা মিলেও তৈরি করতে পারেন জোট। সে অনুযায়ী বন্টন হবে আসন।

ইসি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা জোট করলে তারা ১০টি সংরক্ষিত আসন পাবে। সেক্ষেত্রে তারা স্বতন্ত্র জোট হিসেবে গণ্য হবে।”

সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মে জমা দিতে হবে মনোনয়নপত্র। নিয়োগ দেয়া হবে রিটার্নিং ও সহকারি রিটানিং কর্মকর্তাও। এ পর্যন্ত সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরা বিনাভোটে নির্বাচিত হলেও কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট নির্ধারিত আসনের বিপরীতে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দিলে সেক্ষেত্রে ভোটাভুটি হবে।

অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র জমাসহ সকল কার্যক্রম চলবে। মনোনয়নপত্রের সমান যদি বৈধ মনোনয়নপত্রের সংখ্যা হয় তাহলে নির্বাচন হবেনা।”

নির্বাচনে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও জোটের জন্য থাকবে ভিন্ন ভিন্ন ব্যালট। সংরক্ষিত আসনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি হিসেবে কমিশন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে চিঠি পাঠাতে যাচ্ছে মঙ্গলবারের মধ্যেই।

চিঠির জবাবেই কমিশন নিশ্চিত হবে কোনো স্বতন্ত্র সদস্য রাজনৈতিক দলের সাথে জোটে যাচ্ছেন নাকি আলাদাভাবে নিজেরা জোটবদ্ধ হচ্ছেন।

জাতীয়/আবির