লোডশেডিং নিয়ে বিভ্রান্তিতে কান দেবেন না: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২২

 

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘একটি যুদ্ধই (রাশিয়া-ইউক্রেন) সারা বিশ্বে লোডশেডিংয়ের মূল কারণ। করোনার পর যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সামর্থ্য আছে। সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়িত করতে পেরেছি। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়সাপেক্ষ। এখন অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে অর্থনীতির ওপর চাপ পড়বে। সারা বিশ্বে আগত সমস্যার মোকাবিলায় এই লোডশেডিং করা হচ্ছে। এ জন্য অনেকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এগুলোতে কান দেবেন না। আমাদের সবকিছুতে সাশ্রয়ী হতে হবে। আমাদের মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে তা আজ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।’

শনিবার (৩০ জুলাই) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সায়েন্স ক্লাব আয়োজিত অষ্টম গণিত অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা জেনে বুঝে শিখবে, তার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারা শেখার মতো শিখুক। এই শেখার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করবেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের দায়িত্ব শিক্ষার্থীকে জ্ঞানপিপাসু করে তোলা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানচর্চা হয়ে থাকে। আমাদের চারপাশে যা ঘটছে তা বুঝতে হলে গণিত বুঝতে হবে। এই অলিম্পিয়াডগুলো গণিতের প্রতি শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা তৈরি করে। এই প্রতিযোগিতামূলক অলিম্পিয়াডে শহর থেকে গ্রাম সব অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে— যা প্রমাণ করে গণিত সর্বজনীন।’ এ ছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য সবাইকে প্রস্তুত হতে বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। দেশে প্রত্যেক জায়গাতে উন্নয়ন হয়েছে। জাবিতেও এর ছোঁয়া লেগেছে। ১৪০০ কোটি টাকা বাজেট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী— যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে সর্বোচ্চ। করোনাকালে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস—পরীক্ষা দিয়েছে। এতে সেশনজট কমেছে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণাগারের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ. এ. মামুন এবং অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির প্রমুখ।

এসময় শ্রেণি বিভাজনের ভিত্তিতে এবারের অলিম্পিয়াডে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৭টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে দেশের দু’শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়া প্রথম ৫ জন কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

সিলেট/আবির