রাষ্ট্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না, প্রশ্ন ব্যারিস্টার সুমনের The Daily Sylhet The Daily Sylhet প্রকাশিত: ৪:১৪ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২৪ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সংসাদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, ‘আমি থানায় জিডি করার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত ছিল যারা হুমকি দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না, সেই প্রশ্ন এখন দেখা দিয়েছে।’ রোববার (৩০ জুন) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছি। এখন দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। মৃত্যুর ভয় আমি করি না। কিন্তু আমার এলাকার মানুষকে নিয়ে চিন্তা করি। তিনি বলেন, সম্প্রতি আমার থানার ওসি আমাকে ফোন দেন। আমি তার সঙ্গে দেখা করি। দেখা হলে তিনি আমাকে তার মোবাইলে থাকা একটি ক্ষুদে বার্তা দেখান। এরপর ওই বার্তায় থাকা একটি নম্বরে কল দেন। কল দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। যার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন তিনি একজন পেশাদার খুনি। ওই পেশাদার খুনি আমাকে বলেন আমার বাড়ি সিলেটে। আমি আপনার সম্পর্কে জানি। আপনাকে খুনের পক্ষে আমি না। সুমন আরও বলেন, কিন্তু আমার বক্তব্য হচ্ছে আমাকে খুনের নীলনকশা পুলিশ জানলেও তারা ব্যবস্থা নিল না কেন? আমাকে কেন জিডি করতে হল। পুলিশ কি করে। তাদের কি কোনো দায়িত্ব নাই। আমি তো আর সাধারণ কোনো মানুষ না। একজন সংসদ সদস্য। আমাকে হত্যার হুমকির পরেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিল না। আমাকেই জিডি করতে হলো। এর আগে শনিবার রাতে ‘অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল হত্যার জন্য টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে’ জেনে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও জাতীয় সংসদের সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। শেরেবাংলা নগর থানা করা সাধারণ ডায়েরিতে ব্যারিস্টার সুমন উল্লেখ করেছেন, গত ২৭ জুন ঢাকায় অবস্থানকালে রাত আনুমানিক ২টার সময় আমার নির্বাচনি এলাকার চুনারুঘাট থানার ওসি তার সরকারির মোবাইল ফোন থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে জানান যে, ‘আপনাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত তিন দিন আগে ৪-৫ জনের একটি টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে। আপনি রাতে বাইরে বের হবেন না এবং সাবধানে থাকবেন।’ তখন আমি ওসির কাছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি ওই ব্যক্তির পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন এবং আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। এই বিষয়টি জানার পরে আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন প্রসিকিউটর ছিলেন, এই পদ থেকে তিনি ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর পদত্যাগ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা অসঙ্গতি তুলে ধরার পাশাপাশি মানবিক কাজ করে জনপ্রিয়তা পান ব্যারিস্টার সুমন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন ব্যারিস্টার সুমন। সারাদেশ/আবির SHARES জাতীয় বিষয়: