ভূমিকম্প হলে কী করা যাবে, কী করবেন না The Daily Sylhet The Daily Sylhet প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২৩ মানচিত্র লক্ষ করলে দেখা যায়, ভৌগোলিক অবস্থান, জলবায়ুর প্রভাব, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, অসংখ্য নদনদীর গতিপ্রবাহ, ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশে প্রায় সময় বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙন ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে থাকে। অন্যদিকে উত্তরে তিব্বত সাব-প্লেট, ইন্ডিয়ান প্লেট এবং দক্ষিণে বার্মা সাব-প্লেটের সংযোগস্থল বা ফল্ট লাইনে বাংলাদেশের অবস্থান হওয়ায় ভূমিকম্পের ঝুঁকিও তুলনামূলক বেশি। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই যুগের যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে, ‘ইন্ডিয়া প্লেট ও বার্মা প্লেটের সংযোগস্থলে দীর্ঘ সময় ধরে কোনো ভূমিকম্পের শক্তি বের হয়নি। ফলে সেখানে ৪০০ থেকে হাজার বছর ধরে শক্তি জমা হয়ে রয়েছে। ইন্ডিয়া প্লেট পূর্বদিকে বার্মা প্লেটের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে আর বার্মা প্লেট পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে সেখানে যে পরিমাণ শক্তি জমা হচ্ছে, তাতে আট মাত্রার অধিক ভূমিকম্প হতে পারে!’ ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া যেহেতু খুব জটিল বিষয়, তাই কখন-কেমন ভূমিকম্প হতে পারে, তা নির্দিষ্ট করে বলা স্বভাবতই অসম্ভব! তবে গবেষণার মাধ্যমে সম্ভাব্য পূর্বাভাস ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থান নির্ণয় করা যায়। তাই এ বিষয়ে আমাদের সম্যক জ্ঞান রাখা ও সচেতন হওয়া খুবই দরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ভূমিকম্পের সময় করণীয় নিয়ে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এটি দেওয়া আছে। নিচে করণীয়গুলো তুলে ধরা হলো- ভূকম্পন অনুভূত হলে আতঙ্কিত হবেন না। ভূকম্পনের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবের নিচে আশ্রয় নিন। রান্নাঘরে থাকলে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে আসুন। বিম, কলাম ও পিলার ঘেঁষে আশ্রয় নিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে স্কুলব্যাগ মাথায় দিয়ে শক্ত বেঞ্চ অথবা শক্ত টেবিলের নিচে আশ্রয় নিন। ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে খোলা স্থানে আশ্রয় নিন। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, মার্কেট ও সিনেমা হলে থাকলে বের হওয়ার জন্য দরজার সামনে ভিড় কিংবা ধাক্কাধাক্কি না করে দুহাতে মাথা ঢেকে বসে পড়ুন। ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে বেশি নড়াচড়ার চেষ্টা করবেন না। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন, যাতে ধুলাবালু শ্বাসনালিতে না ঢোকে। একবার কম্পন হওয়ার পর আবারও কম্পন হতে পারে। তাই সুযোগ বুঝে বের হয়ে খালি জায়গায় আশ্রয় নিন। ওপর তলায় থাকলে কম্পন বা ঝাঁকুনি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে; তাড়াহুড়ো করে লাফ দিয়ে বা লিফট ব্যবহার করে নামা থেকে বিরত থাকুন। কম্পন বা ঝাঁকুনি থামলে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে পড়ুন এবং খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিন। গাড়িতে থাকলে পদচারী-সেতু, উড়ালসড়ক, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামান। ভূকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরে থাকুন। ব্যাটারিচালিত রেডিও, টর্চলাইট, পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম বাড়িতে রাখুন। বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করুন। সারাদেশ/আবির SHARES সারা দেশ বিষয়: