বিশেষ বিসিএসের চূড়ান্ত সুপারিশে নারী প্রার্থীরা প্রাধান্য পেয়েছেন। অপরদিকে সাধারণ বিসিএসে প্রাধান্য পেয়েছেন পুরুষ প্রার্থীরা। তিনটি সাধারণ ও দুটি বিশেষ বিসিএসের তথ্য পর্যালোচনায় এমন চিত্র উঠে এসেছে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বার্ষিক প্রতিবেদনে। দুটি বিশেষ বিসিএসেই চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
পিএসসির বার্ষিক প্রতিবেদনটি রবিবার (৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদেও উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৩৬তম বিসিএসে দুই হাজার ৩২৩ জনকে চূড়ান্ত নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। চূড়ান্ত সুপারিশে পুরুষ প্রার্থী ৭৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং নারী প্রার্থী ২৬ দশমিক ২২ শতাংশ স্থান পেয়েছেন। ৩৭তম বিসিএসে চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া এক হাজার ৩১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে পুরুষ ৭৫ দশমিক ৪০ শতাংশ ও নারী ২৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। ৩৮তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত দুই হাজার ২০৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৭৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ এবং নারী ২৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।
অপরদিকে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া ৬ হাজার ৭৯২ জন প্রার্থীর মধ্যে পুরুষ ৫৩ শতাংশ এবং নারী ৪৭ শতাংশ। ৪২তম বিশেষ বিসিএসে ৪ হাজার চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীর মধ্যে পুরুষ ৫০ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং নারী ৪৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
সবগুলো বিসিএসেই সুপারিশপ্রাপ্ত পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হলেও চিকিৎসক নিয়োগে অনুষ্ঠিত দুটি বিশেষ বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত নারী প্রার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ বিসিএসে যেখানে সুপারিশপ্রাপ্ত নারীর হার গড়ে এক-চতুর্থাংশ। সেখানে বিশেষ বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত নারী প্রায় অর্ধেক।
উল্লেখ্য, যোগ্যপ্রার্থী সংখ্যার দিক দিয়ে সাধারণ বিসিএসে পুরুষের সংখ্যা বেশি হলেও বিশেষ বিসিএসে নারী অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা প্রাধান্য পেয়েছে।
৩৬তম, ৩৭তম ও ৩৮ তম বিসিএসে যোগ্য প্রার্থীর মধ্যে পুরুষ ও নারীর হার যথাক্রমে ৬৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও ৩৩ দশমিক ১৪ শতাংশ; ৬৫ দশমিক ১৮ শতাংশ ও ৩৫ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ৬৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও ৩৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এদিকে বিশেষ ৩৯তম ও ৪২তম বিসিএসে পুরুষ ও নারীর হার যথাক্রমে ৪৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও ৫৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং ৪৪ দশমিক ০৮ শতাংশ ও ৫৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ থেকে ২৭ বছর বয়সী প্রার্থীরাই বেশি চাকরি পাচ্ছেন।
পাবলিক সার্ভিস কমিশন তার বার্ষিক প্রতিবেদনে পাঁচটি বিসিএসের তথ্য সন্নিবেশ করলেও সুপারিশপ্রাপ্তদের বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যান কেবল ৪২তম বিসিএসের ক্ষেত্রে করেছে।
এতে দেখা যায়, চাকরির জন্য সুপারিশ করা প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রার্থীর বয়স ২৫ থেকে ২৭ বছর। অপরদিকে সবচেয়ে কম ২১-২৩ বছর বয়সীর হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। অন্যদের মধ্যে ২৩-২৫ বছরের ২৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ, ২৭-২৯ বছরের ২০ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ২৯ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে চাকরি পাওয়ার হার ১১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
জাতীয়/আবির
প্রধান সম্পাদকঃ আজিজুল হক চৌধুরী
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আনোয়ারুল হক রুবেল
বার্তা সম্পাদকঃ সুজন আহমদ