বিনোদন বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ১৪তম প্রয়াণ দিবস আজ The Daily Sylhet The Daily Sylhet প্রকাশিত: ৬:৩৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩ একুশে পদকপ্রাপ্ত কিংবদন্তী বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ১৪তম প্রয়াণ দিবস আজ। ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালের এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন স্বাধীকার আন্দোলনে শাহ আব্দুল করিমের গান অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে বাঙালীকে। একদিকে তিনি ছিলেন গণচেতনার সঙ্গীত রচয়িতা, সুরকার ও গায়ক, অন্যদিকে ছিলেন বাউল-আঙ্গিকের সঙ্গীতশিল্পী। তার মরমী কথা, হৃদয় ছোঁয়া সুর তাকে হাওরের রাখাল বালক থেকে বাউল সম্রাটের আসনে বসিয়েছে। শাহ আব্দুল করিম ইব্রাহিম আলী ও নাইওরজানের ঘরে ১৯১৬ সালে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে পড়ালেখার সুযোগ হয়নি আব্দুল করিমের। বন্দে মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, গাড়ি চলে না চলে না, রঙের দুনিয়া তরে চায় না, তোমরা কুঞ্জ সাজাও গোসহ এমন অসংখ্য গানের মধ্য দিয়ে মানুষের সুখ দু:খ প্রেম যন্ত্রণা স্বপ্নকে ফুটিয়ে তুলেছেন শাহ আব্দুল করিম। তার গানে খুঁজে পাওয়া যায় হৃদয়ের গহীন অনুভূতি আর গ্রামীণ জীবনের আত্মাকে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়েও আব্দুল করিম ছিলেন স্বশিক্ষিত, যার ছাপ তিনি রাখেন তার কথা ও সুরে। প্রথম জীবনে তিনি বাউল, ভক্তিমূলক, জারি, সারি, রাধাকৃষ্ণবিষয়ক পালাগান গেয়েছেন। কিন্তু পরিণত বয়সে গণসঙ্গীত রচনা ও পরিবেশন করে কিংবদন্তিতে পরিণত হোন আব্দুল করিম। এ পর্যন্ত তার সাতটি গানের বই প্রকাশিত হয়েছে। বাউল সম্রাটের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শাহ আবদুল করিম পরিষদের আয়োজনে তার নিজ গ্রামে দোয়া ও করিম গীতি আসরের আয়োজন করা হয়েছে। দিনব্যাপি এই অনুষ্ঠানে সকলের দোয়া ও উপস্থিতি কামনা করেছেন বাউলের একমাত্র সন্তান শাহ নুরজালাল। দৈহিকভাবে বাউলসম্রাট না থাকলেও তার গান বয়ে যাবে যুগ থেকে যুগান্তরে, এমনটাই বিশ্বাস সংগীতপ্রেমীদের। সিলেট/আবির SHARES সারা দেশ বিষয়: