বাংলাদেশে মানবিক সংকট চলছে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত: ৫:২৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২৪

 

বাংলাদেশে মানবিক সংকট চলছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। স্থানীয় সময় বুধবার (১ আগস্ট) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ কথা বলেন।

নিয়মিত ব্রিফিংয়ের আগে বিবৃতিতে মুখপাত্র বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সহিংসতার মধ্যেও বিষয়টি সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি, বাংলাদেশে মানবিক সংকট চলছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালসহ বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। আমাদের অংশীদাররা অপারেশনাল চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে- যার মধ্যে স্পষ্টতই ইন্টারনেট বিভ্রাট, ব্যাংক বন্ধ এবং কারফিউ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বিবৃতিতে স্টিফেন ডুজারিক আরও বলেন, গত মাসে আমরা আর আমাদের পার্টনাররা ১২ লাখ মানুষের সহায়তায় ৮০ মিলিয়ন ডলারের মানবিক সাড়াদান পরিকল্পনা চালু করেছি। গত ৫ জুনে ৭.৫ মিলিয়ন ডলার ঘূর্ণিঝড়ের প্রতিক্রিয়া মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য সরবরাহ করা হয়। ৪ জুলাই জরুরি প্রতিক্রিয়া তহবিল থেকে অতিরিক্ত ৬.২ মিলিয়ন ডলার ছাড় করা হয় যমুনা অববাহিকার জনগোষ্ঠীকে নগদ অর্থ প্রদানের জন্য। অবশ্যই মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহায়তায় কক্সবাজারে ব্যাপক মানবিক কার্যক্রম চলছে।

অপরদিকে, বিবৃতির পরে এক ব্রিফিংয়েও উঠে আসে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ। সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র আন্দোলন দমন চলছে। এসব ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ সরকার কি জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছে? রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত কোনো তদন্তে জাতিসংঘ কি সহায়তা করবে? নাকি জাতিসংঘ নিজস্ব তদন্তের প্রস্তাব দেবে?

জবাবে বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটা সহিংসতার ঘটনাগুলোর স্বাধীন তদন্তে সরকারকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ সর্বদা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই যে কোনো জায়গায় সরকারকে সহায়তা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। যারা বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করে- আমরা তখন দেখি কীভাবে এটি সর্বোত্তমভাবে করা যায়। স্বাধীন তদন্ত করার জন্য জাতিসংঘের লেজিসলেটিভ বডির (আইনপ্রণয়নকারী পরিষদ) অনুমতি প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- আপনি গাজায় নিহত সাংবাদিকদের কথা বলছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে অন্তত তিনজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এবং অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। আমার এক সহকর্মী সাঈদ খান, আমার সংবাদ সংস্থায় চাকরি করতেন। সে কোথায় আছে কেউ জানে না।

জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, আমরা বাংলাদেশে তাজা গোলাবারুদ ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছি। বাংলাদেশ হোক বা অন্য কোথাও, সরকারকে জনগণের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার রক্ষা করতে হবে। সাংবাদিকদের অবাধ ও অবাধ উপায়ে তাদের কাজ করার অধিকার রক্ষা করা দরকার।

জাতীয়/আবির