নানা সমস্যায় গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর পরিবার The Daily Sylhet The Daily Sylhet প্রকাশিত: ৫:১৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২২ গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর পরিবার বর্তমানে ‘অনেক বিপদে’ দিনযাপন করছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে বনানীর বাসায় ইলিয়াস আলীর বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীর পরিবার অনেক বিপদে আছেন। তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল কিছুক্ষণ আগে। তিনি বললেন তার (ইলিয়াস আলী) ব্যাংক একাউন্ট সেটা তারা হেন্ডেল করতে পারছেন না। তার গাড়িও ট্যাক্স তারা দিতে পারছেন না। মির্জা ফখরুল বলেন, এই বিষয়গুলো তার পরিবারের কাছে একটা মর্মান্তিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মেয়ের ভর্তির ব্যাপারে অনেক সমস্যার মধ্যে তাদের পড়তে হয়েছে। সব কলেজে মেয়েকে ভর্তি করছিলো না। পরিবর্তিকালে অনেক চেষ্টা-তদবির করে তার মেয়েকে ভর্তি করানো হয়েছে। এটা শুধু ইলিয়াস আলীর পরিবার নয়, গুম হওয়া সব পরিবারগুলো এমন নিদারুন কষ্টের মধ্যে আছেন বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। ২০১২ সালে ১৭ এপ্রিল ইলিয়াস আলীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে লোকজন তুলে নিয়ে যায় বনানীর বাসার কাছে আমতলী থেকে। তার স্ত্রী তাহসিনা রশদীর লুনা, এক ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস এবং এক মেয়ে সাইয়ারা নাওয়াল। সাইয়ারা নাওয়াল মহাখালী ডিওএইচএসের বাংলাদেশ ইন্টান্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে একাদশ শ্রেণীতে পড়ছেন। বেলা ১২টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে নিয়ে বনানীতে ইলিয়াস আলীর বাসায় যান। তিনি সেখানে তার সহধর্মিনী তাহসিনা রুশদীর লুনার সাথে কথা বলেন। এই সময়ে সিলেট জেলা সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি মহাসচিব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পরিবারের জন্য ঈদ উপহার তার কাছে পৌ্ঁছিয়ে দেন। তিনি বলেন, আমরা গুম হওয়া পরিবারগুলোর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার পৌঁছিয়ে দিচ্ছি। বিভিন্ন জেলাগুলোতে যারা ভিকটিমস আছেন তাদেরকে জেলা পর্যায়ের নেতারা এই ঈদ উপহার ও সহযোগিতা করার চেষ্টা করছেন। জবাবদিহি না আসলে বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে না মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সম্প্রতি দুই জন ক্রসফায়ারে মারা গেছে। এটা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার চার মাস পরে। এটার কারণটা হচ্ছে, আমি যেটা মনে করি যে, র্যাবের যে ক্রেরেক্টার তারা তৈরি করে দিয়েছে সেই ক্রেরেক্টারে সমস্যা সমাধান করতে বলতে সেটাকেই মনে করে এবং সেইভাবে একইভাবে বেআইনি সব অমানবিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা কাজ করছে এবং করে যাবে। ‘যতক্ষণ পর্য়ন্ত তারা (সরকার) ব্যবস্থা না নেবে- যাদেরকে দায়ী করা হয়েছে, যারা ওই কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকার এখন পর্যন্ত কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। তার জন্য স্বাভাবিকভাবে এসব (বিচারবর্হিভুত হত্যাকান্ড) হবে। এর একমাত্র কারণ এখানে কোনো জবাবদিহিতা নেই। আমরা বার বার একথা বলেছি যে, সরকারের বড় সমস্যা হচ্ছে যে, তাদের যেহেতু জবাবদিহিতা জনগণের কাছে নাই, অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান আছে তাদেরও সেই জবাবদিহিতার থাকার প্রয়োজন তারা মনে করে না।’ ‘ইলিয়াস আলীর সন্ধানে সরকারের প্রচেষ্টা নেই’ মির্জা ফখরুল বলেন, গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের সন্ধানে সরকারের কোনো প্রচেষ্টাই দেখা যায় না। ইলিয়াস আলীর গুম হওয়ার বিষয়ে কোনো প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। যেহেতু সরকারই ইনভলবড। যখন ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে গেছে বাসা ওই খান থেকে তখন তো মানুষজন দেখেছে যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। যারা দেখেছেন তারাও গুম হয়েছে, তার গাড়ির চালকও গুম হয়েছে।’ সিলেট/আবির SHARES রাজনীতি বিষয়: