থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কাছেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাস দুর্ঘটনায় পড়ার পর সেটিতে আগুন ধরে গেছে। এতে অন্তত ২২ শিশুসহ ২৫ জনের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
থাইল্যান্ডের পরিবহনমন্ত্রী সুরিয়া জুয়াংরুংরুংকিত বলেছেন, দুর্ঘটনার পর বাসটি থেকে ১৬ শিশু এবং তিনজন শিক্ষক বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে ২২ জন ছাত্র এবং তিনজন শিক্ষক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
বিবিসি খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনের মরদেহ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
দুর্ঘটনাস্থলের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, আগুনে বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তদন্তকারীরা উত্তাপের কারণে বাসটিতে এখনও প্রবেশ করতে পারেননি।
উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ উথাই থানিতে একটি স্কুল ট্যুর শেষে তিনটি বাসে করে শিশু ও শিক্ষকরা ফেরার পথে একটি বাস বিস্ফোরিত হয়।
পরিবহনমন্ত্রী সুরিয়া জুয়াংরুংরুংকিত বলেছেন, বাসটি সিএনজি-চালিত (কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) ছিল।
তিনি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। মন্ত্রণালয়কে অবশ্যই একটি ব্যবস্থা খুঁজে বের করতে হবে... যদি সম্ভব হয়, এই ধরনের যাত্রীবাহী যানবাহনের জন্য এই ধরনের জ্বালানি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। কারণ এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘একজন মা হিসাবে, আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর দুঃখ প্রকাশ করতে চাই।’
আন্তর্জাতিক/আবির
প্রধান সম্পাদকঃ আজিজুল হক চৌধুরী
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আনোয়ারুল হক রুবেল
বার্তা সম্পাদকঃ সুজন আহমদ