তোরা এখন আর ছোট নেই, মুশফিককে গাঙ্গুলি

প্রকাশিত: ৮:১৪ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০২০

২২ গজের ক্রিকেট মাঠে স্লেজিং বা প্রতিপক্ষকে উত্ত্যক্ত করা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। বর্তমানে এটার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা এটাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।

উপমহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের কম-খুব বেশি স্লেজিং করতে দেখা যায়। ২০০৭ বিশ্বকাপের ভারতের বিপক্ষে সে রকম একটি ম্যাচে স্লেজিংয়ের গল্প শুনিয়েছেন টাইগার ব্যাটসম্যান মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিক।
ওই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার গ্রুপপর্বে ভারতকে ৫ উইকেটে হারায় টাইগাররা। মূলত এ জয়ই হট ফেভারিট ভারতকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেয় হাবিবুল বাশার বাহিনী। আর সহজেই পরের রাউন্ডে চলে যায় তরুণ সাকিব-মুশফিক ও তামিমরা।

তবে ভারতকে হারানো সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে একাই ভুগিয়েছিলেন ভারতের বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। সেদিন ১২৯ বল খেলে করেছিলেন ৬৬ রান। মূলত তার এই ইনিংসের কল্যাণেই ১৯১ রান পর্যন্ত যেতে পারে আগের আসরের রানার্স আপ দলটি। সৌরভের ব্যাটিং দেখে তার সঙ্গে রসিকতা করে উত্ত্যক্ত করেছিলেন উইকেটকিপার মুশফিক।
সম্প্রতি ডেইলি ক্রিকেটের ফেসবুক লাইভে ভক্তদের সঙ্গে সেই ঘটনা শেয়ার করেন মুশফিক। তিনি বলেন, আসলে কাউকে কখনো খোঁচা দিয়ে স্লেজ করা হয়নি। আমি ওরকম করি না। তবে টেকটিক্যাল স্লেজিং করা হয়, এটা ক্রিকেটের অংশ। আমার ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে স্লেজিংয়ের কথা মনে আছে। বিশ্বকাপে সেটা ছিল আমার প্রথম ম্যাচ। সৌরভ গাঙ্গুলি অনেকক্ষণ ধরে ব্যাটিং করছিলেন। ওই ম্যাচে ৬৬ রান করেন তিনি।

মুশফিক বলেন, তখন রফিক ভাই বা রাজ্জাক ভাই বল করছিল। ওনি-তো কলকাতার, বাংলা অবশ্যই ভালোভাবে বোঝেন। তাই আমি বললাম- দাদা, এত মারছেন কেন! আমরা আপনার ছোটভাই না? এত মারলে কীভাবে হবে! আমাদের একটু ছাড়-টাড় দেন। তখন তিনি কিছু বলেননি। কিন্তু স্ট্রাইক ঘুরিয়ে আবার যখন আমার প্রান্তে আসলেন তখন বললেন- না না, তোরা এখন আর ছোট নেই। তোরা এখন অনেক বড় হয়ে গেছিস। তোদের আর ছাড় দেয়া যাবে না।