ড. ইউনূসকে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে তুলনা করলেন জোসে হোর্তা

প্রকাশিত: ৬:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহম্মদ ইউনূসকে নেলসন ম্যান্ডেলা, জন এফ কেনেডি, মহাত্মা গান্ধী, ফিদেল কাস্ত্রো এবং চে গুয়েভারের মতো বিশ্ব নেতাদের সাথে তুলনা করেছেন পূর্ব তিমুর প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা।

রোববার ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক এবং প্রতিনিধি দলের আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের তাঁর দেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তা।

অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে রামোস হোর্তা বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে পারি এবং বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে তিমুর-লেস্তে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। আগামী বছর আমরা আসিয়ানের সদস্য হবো এবং সেইসঙ্গে ৭০০ মিলিয়ন জনগোষ্ঠির অঞ্চলের অংশ হয়ে উঠব।’

তিনি আরও বলেন, আগামী বছর তিমুর-লেস্তে ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি জিডিপি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হবে। তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ তাঁর দেশের উন্নয়নে অংশীদার হবে।

রামোস-হোর্তা বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত নেতা। যিনি এখনও সক্রিয়ভাবে অফিসে কাজ করছেন। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে নেলসন ম্যান্ডেলা, জন এফ কেনেডি, মহাত্মা গান্ধী, ফিদেল কাস্ত্রো এবং চে গুয়েভারের মতো বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, খুবই ভাগ্যবান যে এমন একজন নিরহঙ্কার ও বিনয়ী মানুষ দেশের নেতৃত্বে রয়েছেন। তিনি আপনাদের তরুণদের সাথে কাজ করছেন দেশের পরিববর্তনের জন্য।’

বাংলাদেশ ও তিমুর-লেস্তের জনগণের ভোগান্তির ইতিহাস প্রায় একই রকম উল্লেখ করে তিমোর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দৃঢ়চেতা, পরিশ্রমী, সৃজনশীল ও সফল।’

অধ্যাপক ইউনূসকে তার ভাই, বন্ধু ও পরামর্শক উল্লেখ করে বাংলাদেশ তাকে আতিথেয়তা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে এসে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট এবং তার সফরসঙ্গীরা গতকাল রাত ১০টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) অবতরণ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তাকে গার্ড অব অনার এবং গান স্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানান।

 জাতীয়/আবির