মৌলভীবাজার জেলার সীমান্ত উপজেলা জুড়ী শিলুয়া উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মিলনায়তনে থাকা-খাওয়ার স্থায়ী আবাসস্থল তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানিয়েছেন, শিলুয়া উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৮ সাল থেকে ছাত্রী মিলনায়তনে স্থায়ী আবাসন গড়ে তুলেছেন। এ ছাত্রী মিলনায়তনে তার দুটি সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। মিলনায়তনের অপর অংশ আরও দুজন শিক্ষকও বসবাস করছেন।
একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রী মিলনায়তন দখলে থাকায় তারা দুপুরের বিরতিতে মিলনায়তনে না গিয়ে ক্লাসেই সময় কাটাতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পরিবেশ মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে। একই সঙ্গে অভিভাবক মহলেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রী মিলনায়তন থেকে এ শিক্ষককে সরানোর বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার জানানো হলেও তা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ শিক্ষক ছাত্রী মিলনায়তনে দুটি সন্তান নিয়ে বসবাসের পাশাপাশি রুমে খাট, সোফা বসিয়ে পুরো কক্ষটি বেড রুম বানিয়েছেন।
এ ছাড়া অভিযোগ আছে, এ অধ্যক্ষ এই বিদ্যালয়ে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গেও জড়িত রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে অধ্যক্ষ সেলিম মিয়ার সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বললে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েই তিনি এখানে বসবাস করছেন। জন প্রতি এক হাজার টাকা ভাড়াও দিচ্ছেন। তা ছাড়া শ্রেণিকক্ষের সঙ্গেই ছাত্রী মিলনায়তন। এতে শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা নয়।
অপরদিকে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুর রহমান জানিয়েছেন, ছাত্রী মিলনায়তনে শিক্ষকের বসবাস করার কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র: সময় নিউজ
সিলেট/আবির
প্রধান সম্পাদকঃ আজিজুল হক চৌধুরী
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আনোয়ারুল হক রুবেল
বার্তা সম্পাদকঃ সুজন আহমদ