ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ থেকে সিলেটে কোনো ঘোষণা ছাড়াই গত চার দিন ধরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সিলেট মালিক সমিতির নতুন বাস নামানোকে কেন্দ্র করে গত ২ আগস্ট থেকে বাস চলাচল করছে না। কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই বাস বন্ধ করে দেয়ায় কাউন্টারে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা।
ময়মনসিংহ মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মো. মাহবুবুর রহমান শুক্রবার রাত সোয়া ১১টায় বাস বন্ধের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরাফাত নামের এক যাত্রী বলেন, ‘চার দিন ধরে সিলেটগামী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে, অথচ আমরা সাধারণ যাত্রীরা কিছুই জানি না। শুক্রবার বিকেলে সিলেটের টিকিট কাটতে কাউন্টারে এসে জানতে পারছি বাস চলাচল বন্ধ। টিকিট না পেয়ে বাড়িতে ফেরত গেছি।’
শেখ সাদি নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘সিলেটে আমার ফুফু গুরুতর অসুস্থ। তাকে দেখতে যেতে হবে। ময়মনসিংহ নগরীর শম্ভুগঞ্জ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে টিকিট কাটতে গিয়েছিলাম শহরের সিলেট বাস কাউন্টারে। কিন্তু ম্যানেজার জানিয়েছেন, সিলেটে কোনো বাস ছেড়ে যাবে না। আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়লেও তাদের কিছুই করার নেই।’
ময়মনসিংহ মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নেত্রকোণা জেলায় চলাচলের জন্য গত ২ আগস্ট সিলেট মালিক সমিতির দুটি বাস নামিয়েছে। কিন্তু নেত্রকোণা মালিক সমিতি এ বাস দুটি চলাচল করতে দিবে না বলে জানায়। কিশোরগঞ্জ মালিক সমিতিও নেত্রকোণা মালিক সমিতির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিলেট মালিক সমিতি ময়মনসিংহ-সিলেট সড়কে তাদের সব বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়।’
ময়মনসিংহের শাহজালাল পরিবহনের ম্যানেজার মো. মানিক বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে সিলেটগামী বাসগুলো কিশোরগঞ্জ হয়ে যায়। ১ তারিখ রাতেও আমাদের বাস ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে গেছে। সমস্যা সমাধান না হওয়ার কারণে ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে যাওয়া বেশ কিছু গাড়ি সিলেটে আটকে দেয় মালিক সমিতি। পরে সব গাড়ি বাস ছাড়াই সিলেট থেকে ময়মনসিংহে ফেরত আসে। বর্তমানে ময়মনসিংহের কোনো গাড়ি সিলেটে প্রবেশ করতে না দেয়ায় ময়মনসিংহ থেকে সিলেটগামী সব গাড়ি বন্ধ রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বাস চলাচল বন্ধ সম্পর্কে মালিক সমিতি ছাড়া অন্য কেউ এখনো জানে না। ফলে অনেকে না জেনে টিকিট নিতে এসে ফেরত যাচ্ছেন। মালিক সমিতির নেতারা চেষ্টা করছেন, এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করার।’
সিলেট/আবির
প্রধান সম্পাদকঃ আজিজুল হক চৌধুরী
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আনোয়ারুল হক রুবেল
বার্তা সম্পাদকঃ সুজন আহমদ