গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার পর আজ প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ২টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
ইতোমধ্যে সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমানা আলী টুসি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্মলনস্থলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হবেন।
এদিকে শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলের উদ্দেশে আসা শুরু করেছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। পদপ্রত্যাশী নেতা ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও শত শত তোরণে ছেয়ে গেছে পথঘাট।
কেন্দ্রীয় নেতাদের নজর কাড়তে টঙ্গীর পর থেকে সমাবেশস্থল পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। ইতোমধ্যে সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনকে ঘিরে মহানগর ও জেলার নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। আজকের সম্মেলনে কে হবেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কে অধিষ্টিত হচ্ছেন তা নির্ধারণ করবেন দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আজমত উল্লাহ খান বলেন, আওয়ামী লীগের মতো বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সম্মেলনকে ঘিরে পুরো নগরীতে উৎসবের আমেজ বইছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী জাতীয় ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিক-নির্দেশনা দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আমরা সম্মেলনকে মহাসম্মেলনে রূপ দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি হাতে নিয়েছি।
সিলেট/আবির
প্রধান সম্পাদকঃ আজিজুল হক চৌধুরী
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আনোয়ারুল হক রুবেল
বার্তা সম্পাদকঃ সুজন আহমদ