বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী জাতীয় সংসদে বলেছে, গত অর্থবছর বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশন (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন মিলগুলোর তিন হাজার ১৬৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে। এ সময়ে মিলগুলো আয় করেছে ৪৮৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ব্যয় করেছে তিন হাজার ৬৫২ কোটি ৯৪ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মন্ত্রী জানান, বিটিএমসির ২৫টি পাটকলের মধ্যে ২৪টি বন্ধ রয়েছে এবং একটি ভাড়ায় চলছে। বন্ধ ২৪টির মধ্যে দুটিতে টেক্সটাইল পল্লি স্থাপন এবং দুটি পিপিপিতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাবীব হাসানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে (২০১৮ সালের শুমারি) ৫৮৯টি তাঁত কারখানা ও এক লাখ ১৬ হাজার ১১৭টি ইউনিট রয়েছে। পাওয়ার লুম ব্যতীত তাঁতশিল্পে বছরে প্রায় ৪৭ কোটি ৪৭ লাখ ৪০ হাজার মিটার তাঁতবস্ত্র উৎপাদিত হয়। যা দেশের বস্ত্রচাহিদার ২৮ ভাগ (পাওয়ার লুম ব্যতীত) পূরণ হয়ে থাকে।
বেগম লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে ৫ দশমিক শূন্য তিন লাখ টন কাঁচাপাট রফতানি করা হয়েছে। এছাড়া গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৮৬ লাখ টন কাঁচাপাট এবং ৭ দশমিক ৮২ লাখ টন পাটজাত পণ্য রফতানি হয়েছে।
জাতীয়/আবির
প্রধান সম্পাদকঃ আজিজুল হক চৌধুরী
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আনোয়ারুল হক রুবেল
বার্তা সম্পাদকঃ সুজন আহমদ