অবশেষে চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি

প্রকাশিত: ৯:১৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩

নিউজ ডেস্ক: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিলো। তবে জেলা প্রশাসনের তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, বিশ্বনাথ উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ২০২১ সালে ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই উপজেলার উত্তর মণ্ডলা গ্রামের শামীম আহমদ নামে একজন সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন- তাকে সরকারি টিউবওয়েল প্রদানের জন্য বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানও একই অভিযোগ তুলেন চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে।

বিষয়টি নিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্বনাথ গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেন। পরবর্তেতে ৭ এপ্রিল তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এতে ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান উল্লেখ করেন- তদন্তকালে অভিযোগটির কোনো সত্যতা মেলেনি। এছাড়া এই প্রকল্পের কাজ এখনো শুরুই হয়নি।

এদিকে, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এমন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরও বিশ্বনাথের ওই প্রকল্প নিয়ে ঘটনার জের থামছে না। একই অভিযোগ তুলে গত কয়েকদিনে বিশ্বনাথের কয়েকজন সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলাগুলো তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে এসএম নুনু মিয়া গগণমাধ্যম কে বলেন- ‘আমি বিশ্বনাথ উপজেলায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত প্রথম চেয়ারম্যান। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ঐকান্তিক সহায়তায় বিশ্বনাথে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে আসি। বিশ্বনাথ উপজেলায় এমন বিশাল অঙ্কের সরকারি বরাদ্দ এই প্রথম। বিশ্বনাথবাসীর উন্নয়নের লক্ষ্যে আমার এই প্রচেষ্টা। গত মাসে এই নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিরাও সম্পৃক্তি আছেন। তাই এই প্রকল্পে দুর্নীতির কোনো সুযোগই নেই। সর্বোপরি হাস্যকর বিষয় হচ্ছে- প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে। তবে সরকারি তদন্তে অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।’

তিনি বলেন- ‘আমার সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে এবং এরাই বিভিন্ন লোকজনকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করাচ্ছে। আল্লাহ সহায় থাকলে প্রথমবারের মতো এবারও সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রামাণিত হবে।’

সিলেট/আবির