জয় নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী? আফগানিস্তান টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন শুনেই বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে শুধু একটা শব্দই খরচ করলেন, ‘ইয়েস’। হাথুরুসিংহের এক শব্দের উত্তরেই স্পষ্ট আফগান বধে বাংলাদেশ কতটা আত্মবিশ্বাসী।
কিন্তু আফগানিস্তান দলের ‘অচেনা চরিত্র’ গুলো এখন বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অচেনা ক্রিকেটারে বিধ্বস্ত হওয়ার নজিরও বিশ্ব ক্রিকেটে কম নয়। প্রযুক্তির উতকর্ষতার এই যুগে কেউ অচেনা থাকে না, কিন্তু অভিষেকের অপেক্ষার থাকা কিংবা কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ না খেললে সে ক্রিকেটার সম্পর্কে জানার সীমবাদ্ধতা থাকে অনেক। এ ছাড়া আফগানিস্তনের ঘরোয়া ক্রিকেট খুব একটা সমৃদ্ধ নয়।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টের জন্য ১৫ সদস্যের দলে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন ৫ জন! নেই রশিদ খানদের মতো চেনামুখরা। ব্যাটসম্যান সাইয়েদ বাহির শাহ মাহবুব, অলরাউন্ডার করিম জানাত, পেসার নিজাত মাসুদ, মোহাম্মদ ইবরাহীম ও স্পিনার ইজহারুল হক নাভিদ আছেন অভিষেকের অপেক্ষায়। তারমধ্যে বাহির শাহের প্রথম শ্রেণির পারফরম্যান্স সাড়া জাগানিয়া, আছে ট্রিপল সেঞ্চুরিও (৩০৩*)। ৩৩ ম্যাচ খেলে সেঞ্চুরি করেছেন ৯টি আর হার হাফ সেঞ্চুরি ১১টি।
অচেনা আফগানদের নিয়ে প্রশ্নে হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ফোকাস বেশি নিজেদের দিকে, ‘অনেক ক্রিকেটার (আফগানিস্তানের) সম্পর্কে আমরা খুব বেশি একটা জানি না। যাইহোক আমরা প্রতিপক্ষ দলের শক্তি-সীমাবদ্ধতার দিকে নজর রাখছি। কিন্তু আমরা তাদের ২৫ শতাংশ ফোকাস করবো। আর বাকি ৭৫ শতাংশ আমরা নিজেরা কি করবো সেটাতে ফোকাস রাখবো। আপনি যেভাবে বলছেন, তাদের সম্পর্কে আমরা জানি না তাই সেটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না।’
এর আগেরবার বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই দলের প্রথম দেখায় রশিদ খান পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। এবার ইনজুরির শঙ্কায় তিনি নেই দলে। রশিদ প্রসঙ্গে এলে হাথুরুসিংহে প্রসঙ্গ তোলেন সাকিব আল হাসানের, ‘আর রশিদ একজন কোয়ালিটি বোলার। শেষবার সে যখন এখানে খেলেছে ভালো করেছে। একই সময়ে আমাদের একজন সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও প্রস্তুত না।’
গত এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছিল। এরপরেই ক্রিকেটাররা ব্যস্ত হয়ে পড়েন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। টেস্ট দলের বেশ কয়েকজন সদস্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলেন চারদিনের ম্যাচ। তাই আফগানদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ প্রয়োজন দেখছেন না বাংলাদেশ প্রধান কোচ।
হাথুরুসিংহে বলেন, ‘এটা (প্রস্তুতি ম্যাচ) অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। আমি যদি সত্যিই কিছু বোলারের উপর আমার কাজের চাপ বাড়াতে চাই এবং এখন আমাদের কিছু ব্যাটসম্যান যদি দীর্ঘদিন ধরে না খেলে তাহলে আমি বলবো, হ্যাঁ, এটার (প্রস্তুতি ম্যাচের) প্রাসঙ্গিকতা আছে।’
‘অথবা যদি দেশের বাইরে খেলতে যাওয়া হয়, বিদেশি কন্ডিশনে খেলতে হয়, যেখানে আমরা দীর্ঘদিন খেলি নাই, সেখানেও প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। কিন্তু আমরা এখানে খেলছি। আমরা আমাদের কন্ডিশন পাচ্ছি যেটা আমরা জানি। আমাদের টেস্ট ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা বেশি খেলতে পারেনি তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে (এ দল) সিরিজ খেলেছে। আমি মনে করি এটা সঠিক’ -আরও যোগ করেন হাথুরুসিংহে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টায় একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। এর আগে দুই দলের একমাত্র দেখায় শেষ হাসি হেসেছে আফগানরা। এবার বাংলাদেশ বদলা নিতে পারবে কি?
খেলাধুলা/আবির
প্রধান সম্পাদকঃ আজিজুল হক চৌধুরী
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আনোয়ারুল হক রুবেল
বার্তা সম্পাদকঃ সুজন আহমদ