৩১ জনকে হত্যা করলো মিয়ানমার বাহিনী The Daily Sylhet The Daily Sylhet প্রকাশিত: ৭:০৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৩, ২০২৩ মিয়ানমারের সেনারা শান রাজ্যের এক মঠে হামলা চালিয়ে ৩১ জন মানুষকে হত্যা করেছে। মিয়ানমারের এক বিদ্রোহ গোষ্ঠী এই তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসি। কারেনি ন্যাশনালিটিস ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) জানিয়েছে, সেনারা শনিবার নান নেইন গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে। মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো ও প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের সঙ্গে শান রাজ্যটির সীমান্ত আছে। দুই বছর আগের এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমার জান্তা ক্ষমতার দখলে আসে। এরপর থেকেই দেশটির সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রাণঘাতী ঘটনা বাড়তে থাকে। এর মধ্যে তীব্র লড়াইগুলো হয়েছে শান রাজ্যে। কেএনডিএফ জানিয়েছে, গোলাবর্ষণের পর শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে জান্তার বিমান বাহিনী ও গোলন্দাজ বাহিনী গ্রামটিতে প্রবেশ করে। এরপর মঠে লুকিয়ে থাকা গ্রামবাসীদের খুঁজে বের করে এনে হত্যা করে। তারা অন্তত ২৮ বেসামরিক ও তিনজন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা করেছে বলে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে। এছাড়াও মঠের চারপাশের কয়েকটি ভবন ও বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এগুলো গ্রামটিতে সামরিক বাহিনীর হামলার নজির বলে জানিয়েছে কেএনডিএফ। কেএনডিএফ এর এক ভিডিওতে অন্তত ২০টি মৃতদেহ দেখা গেছে। লাশগুলো মঠের পাশে স্তূপ করে রাখা ছিল। নিহতদের কয়েকজনের পরনে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ব্যবহৃত কমলা রঙের পিরান দেখা গেছে। মৃতদেহগুলোর শরীরে বন্দুকের গুলির আঘাতের মতো অনেক চিহ্ন দেখা গেছে। ভিডিওতে মঠের দেয়ালে গুলির আঘাতে তৈরি হওয়া গর্তও দেখা গেছে। মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর যে বাহিনীগুলো যোগ দিয়েছে কেএনডিএফ তাদের মধ্যে একটি। বিবিসি জানিয়েছে, ঘটনাটির বিস্তারিত যাচাই করা কঠিন হলেও মিয়ানমারের এই অংশে নিরস্ত্র বেসামরিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের বর্বরতার ঘটনা নতুন নয়। অভ্যুত্থানের পর থেকে এখানে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রবল প্রতিরোধের কিছু ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকার অন্যান্য গ্রামে সামরিক বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। মিয়ানমারের জান্তা সরকার চলতি বছর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা করছে। এটি তাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় কিছু বৈধতা এনে দেবে বলে মনে করছে তারা। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ব্যাপক বিমান হামলা সত্ত্বেও তাদের শাসনের বিরোধীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা, এতে নির্বাচন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরেই গৃহযুদ্ধ চলছে, এ যুদ্ধ ২০২১ এর সামরিক অভ্যুত্থানের পর আরও ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এসব লড়াইয়ের ঘটনায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, ৪০ হাজার বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ৮০ লাখ শিশু স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এবং প্রায় দেড় কোটি লোক খাদ্যের অভাবের মুখোমুখি হয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আছেন। আন্তর্জাতিক/আবির SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: