সিলেটে দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলা The Daily Sylhet The Daily Sylhet প্রকাশিত: ৫:১৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২২ সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। গতকাল (রোববার) রাতেই পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন নিহত রিপন দাসের ভাই রূপণ দাস এবং নিহত শিপা তালুকদারের বড় ভাই নিবারণ তালুকদার। মৃত শিপা (২১) সুনামগঞ্জ সদরের মনপুর ইউনিয়নের ফন্দিয়া গ্রামের নির্ণয় তালুকদারের মেয়ে এবং রিপন (৩০) জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাগ ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের সুভাষ দাসের ছেলে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খালেদ মামুন জানান, আজ সোমবার সোমবার নিহত দম্পতির ময়নাতদন্ত হবে। পরে লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি। রোববার পাঠানটুলার পল্লবী আবাসিক এলাকার বাসা থেকে ওই দম্পতির লাশ উদ্ধারের সময় তাদের দেড় বছরের ছেলে শিশু এবং একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ।বর্তমানে শিশুটি তার দিদিমা (নানী) ও মামাদের কাছে রয়েছে।প্রতিবেশী ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রিপন একটি বিস্কুট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। প্রায় আড়াই-তিন বছর আগে এ দম্পতির বিয়ে হয়। তারা ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। রোববার সকাল ৯টার দিকে ঘরের ভেতর থেকে ছোট বাচ্চার কান্না শুনতে পাওয়া যায়। অনেক ডাকাডাকি করার পরও ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা ঘরের টিন কেটে তাদের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। এ সময় দেড় বছরের শিশুটি তার মায়ের পা ধরে কান্না করছিল। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল জানান, ওই বাসা থেকে উদ্ধার করা চিরকুটে- ‘আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছি, তোমরা আমার সন্তানকে খেয়াল রেখো’ লেখা রয়েছে। তবে চিরকুটটি শিপা নাকি রিপন লিখেছেন, তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। মৃতদের মধ্যে ২১ বছর বয়সী শিপা সুনামগঞ্জ সদরের মনপুর ইউনিয়নের ফন্দিয়া গ্রামের নির্ণয় তালুকদারের মেয়ে এবং ৩০ বছরের রিপন জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাগ ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের সুভাষ দাসের ছেলে। সিলেট/আবির SHARES সারা দেশ বিষয়: