সিলেটে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

প্রকাশিত: ৯:২৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২৪

আর মাত্র ১০ দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই ঈদকে ঘিরে দীর্ঘদিন পর সিলেটের মার্কেটেও প্রাণ ফিরে পেয়েছে। মার্কেটগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে মানুষের ভিড়। মার্কেটে, শপিংমলে জমে উঠেছে ক্রেতা-বিক্রেতার রসায়ন। এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, দোকানিরা অতিরিক্ত দাম আদায় করছেন। প্রতিটি জিনিসের মূল্য গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ বা তারও বেশি। নগরীর ফুটপাত থেকে অভিজাত মার্কেট, পাইকারি বাজার ও বুটিক হাউসগুলো জমজমাট বেচাকেনা ও ক্রেতা উপস্থিতিতে মুখর। এ যেন চিরচেনা রুপ। প্রতিটি পরিবারে বাড়ছে আনন্দের আওয়াজ। রমজান মাস শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর ঈদ। আর এই উৎসবকে ঘিরে মুসলমানরা নতুন জামা কিনে।

★ স্বল্প আয়ের মানুষজন পণ্য ক্রয়ে হতাশ!
★ মার্কেটে দরকষাকষিতে নারীরা এগিয়ে।
★ ইফতারির পর বাড়ছে ক্রেতা

এদিকে পোশাকের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় অনেকেই আবার পণ্য ক্রয়ে হিমসিম খাচ্ছে। তাদের বাজেটের তুলনায় পণ্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ক্রেতারা এ বিষয়ে ভিন্ন মতামত দিয়েছেন কেউ বলছেন বাজারে কাপড়ের মানের তুলনায় দাম একটু বেশী। আবার কেউ বলছেন বিক্রেতাদের পণ্য ক্রয়ে খরচ বেশি হচ্ছে সেই জন্যই পণ্যের দাম একটু বাড়িয়ে নিতে হয়। তবে এবারের ঈদবাজারে এখনো মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের ক্রেতাদের উপস্থিতিই বেশি বলে জানান বিক্রেতারা।

শুক্রবার ১৯ রমজান, সিলেট নগরীর কয়েকটি মার্কেটে পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখা যায় গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশ জমে উঠেছে। অলিতে গলিতে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড়। প্রতিটি মার্কেটে নতুন নতুন পোশাকের সমাহার। বিক্রেতাদের মুখে ফুটেছে হাসি। সিলেটে সাধারণত সকাল দশ’টা টা থেকে রাত দুই’টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা থাকে। ক্রেতারা তাদের সুবিধামতো পণ্য কিনে হাসিমুখে বাসায় ফিরে। তবে লক্ষ্য করা যায় রমজান মাস উপলক্ষ্যে বেশিরভাগ ক্রেতারা রাত আট’টার পর মার্কেট করতে আসে।

জিন্দাবাজারের কাপড় ব্যবসায়ীরা জানায়, এই বছর দোকানে নতুন ডিজাইনের কাপড় বেশী তুলেছি আমরা আশাবাদী যে গত বছরের তুলনায় এবার ভালো ব্যবসা হবে। আশা করি ২০ রমজান পর থেকে মানুষের ভিড় আরো বাড়বে। পনেরো রমজানের পর থেকে ক্রেতাদের আগ্রহ কিছুটা বেড়েছে ঈদের আর মাত্র দশ দিন বাকি তবে ধীরে ধীরে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়ছে। আশা করছি ঈদ পর্যন্ত ভালো ব্যবসা করতে পারবো। নগরীর সিটি সেন্টারে বাবা-মায়ের সাথে শপিং এসে মারজানা আক্তার নিপা (১৫) জানায়, শপিংমলগুলো সুন্দর করে সাজিয়েছে নতুন নতুন পোশাকে জমজমাট রয়েছে প্রতিটি দোকান। আমার নিজের জন্য দুইটা জামা কিনে দিয়েছে বাবা। ছোট ভাই-বোনদের জন্যও নিয়েছি। সর্বোপরি এবছর ভালোই লাগছে মার্কেটে এসে। এ ব্যপারে একজন ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায় করোনার পর থেকে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি তাই পরিবারের সকলকে নিয়ে শপিংয়ে আসতে পারিনা এবছর একাই এসেছি নিজের সাধ্য অনুযায়ি পরিবারের জন্য কাপড় কিনে নিয়ে যাব।

ঈদ মানেই নতুন পোশাক। আর ঈদকে ঘিরেই সিলেটের প্রতিটি ফ্যাশন হাউজ সেজেছে নতুন সাজে। আকর্ষণীয় ডিজাইনের পোশাক নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। তাই প্রতিটি ফ্যাশন হাউজে এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষণীয়। নগরীর ফ্যাশন হাউজগুলোর মধ্যে মাহা, আড়ং, মনোরম, ইজি, সিগন্যাল, স্কোয়াড, বারটন, নজরানা, কমলাভান্ডার, রং, আরশী নগর, সিগনেচার, প্লাস পয়েন্ট, টেক্সমার্ট, প্রাচ্য, ইনফিনিটি, আর্টিশটি, রঙের বাড়ই, বাংগালীয়ানা, শী, পাপ্পী, শিশুর হাট, প্রবর্তন, উইম্যান্স ওয়াল্ড, ক্যাটস আই, লাইফ স্টাইল, এক্সাটাসি, ডিমান্ড, জি-স্টার, উৎস, নিপুণ সেজেছে নতুন সাজে। এসব মার্কেটে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্তরা কেনাকাটায় সারছেন। আর নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের আনাগোনা বন্দরবাজার ও হকার্স মার্কেটে।

ক্রেতা আকর্ষণে এবারও পোশাকে রঙ ও ডিজাইনে ভিন্নতা এনেছে বেশ কয়েকটি শপিং মহল তার মধ্যে অন্যতম এগিয়ে রয়েছে সিলেটের জিন্দাবাজারের প্রাণকেন্দ্র শুকরিয়া মার্কেট, আল-হামরা শপিং মহল, মধুবন সুপার মার্কেট, মেলেনিয়াম, রাজা ম্যানশন, হাসান মার্কেট, সিটি সেন্টার, শ্যামলী মার্কেট এবং কাপড়ের দোকানের পাশাপাশি কসমেটিকস্ দোকানে মেয়েদের উপছে পড়া ভিড়।

সিলেট/আবির