শেখ হাসিনার সরকার অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছে: সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৪:৫১ অপরাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২২

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছে।
বুধবার নিজ সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের মতপ্রকাশের সর্বোত্তম মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন। সে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে অধিকতর গণতান্ত্রিক ও আধুনিক করতে আওয়ামী লীগ কাজ করছে। দেশে নির্বাচন ব্যবস্থার যতটুকু উন্নতি হয়েছে তা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। নির্বাচনে এলেই প্রমাণ হবে জনগণ কি ইতিবাচক রাজনীতির দিকে; নাকি নেতিবাচক রাজনীতির দিকে?

তিনি আরো বলেন, দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। মানুষ উন্নয়ন আর অর্জনকে ভোট দেবে নাকি দুর্নীতিকে ভোট দেবে তা সামনে দেখা যাবে। সারাক্ষণ নির্বাচন আতঙ্কে ভুগতে থাকা বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে আগেভাগেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা কথা বলছে।

বিএনপির নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরপেক্ষতার মানদণ্ড কী তার প্রমাণ আপনারা (বিএনপি) ক্ষমতাসীন হয়ে বারবার দেখিয়েছেন। বিএনপি নেত্রী এক সময় বলেছিলেন, ‘দেশে শিশু আর পাগল ছাড়া কেউই নিরপেক্ষ নয়’। দেশবাসী জানে- যতক্ষণ বিএনপির ক্ষমতা দখলের পথ নিরাপদ না হবে, নির্বাচনে জেতার নিশ্চয়তা না পাবে ততক্ষণ তাদের নিরপেক্ষতার মানদণ্ড নিশ্চিত হবে না। জন্মলগ্ন থেকে বিএনপির রাজনীতি ক্ষমতা দখলের। ক্ষমতার প্রশ্নে তাদের কাছে স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্র সবই সমান।

তিনি আরো বলেন, ষড়যন্ত্রের মন্ত্র ও ক্ষমতার তন্ত্রে বিভোর বিএনপি দেশের গণতন্ত্র, জনমত, নির্বাচন, রাজনীতির অর্থবহ ও কল্যাণকর কোনো পন্থায় আস্থা রাখেনি। এখনও তাদের আস্থা নেই।

জনগণ আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত জনগণের মতামতের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শ্রদ্ধাশীল।

দেশে গণতন্ত্রের পূর্ণ চর্চা চলছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে গণতন্ত্র আছে বলে বিএনপি নেতারা রাতদিন সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছেন। মিডিয়ায় ঝড় তুলছেন। সংসদে আনুপাতিক হারের চেয়ে বেশি সময় পাচ্ছেন। পার্লামেন্ট ও পার্লামেন্টের বাইরে বক্তব্য দিচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির গণতন্ত্রের মূলে রয়েছে জনগণের অধিকার হরণ, ভোটারবিহীন নির্বাচন, হ্যাঁ-না ভোট, সোয়া এক কোটি ভুয়া ভোটার সৃষ্টি, আগুন সন্ত্রাস আর দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ।

তিনি আরো বলেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর শেখ হাসিনা সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় বিএনপি নেতাদের বুকে বিষজ্বালা বেড়েই চলছে। এ থেকে হতাশায় ভুগতে থাকা বিএনপি নেতারা সবখানে আবোল-তাবোল বক্তব্য দিচ্ছেন।

সিলেট/আবির