বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নেত্রীকে ড. সামছুল হক চৌধুরীর শুভেচ্ছা The Daily Sylhet The Daily Sylhet প্রকাশিত: ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ, মে ১৭, ২০২৩ স্টাফ রিপোর্ট: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩ তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১৭-ই মে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এ বিশেষ দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সদস্য, যুক্তরাজ্য জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি, দৌলত পুর আঃ ওয়াহাব উচ্চ বিদ্যালয়ের অবৈতনিক প্রতিষ্টাতা প্রধান শিক্ষক বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ সাবেক ছাত্রনেতা ডক্টর সামছুল হক চৌধুরী। তিনি এক বিবৃতিতে জানান, ১৯৮১ সালে ১৭ই মে ছয় বছরের নির্বাসন শেষে প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশে ফিরেন। ১৯৭৫ এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার সময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানীতে অবস্থান করছিলেন। ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তারা লন্ডন ও দিল্লিতে ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাঁটান। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারীতে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে তাঁর অনুপস্থিতিতে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। তিনি দেশে ফিরে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের হাল ধরেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৪ বার দেশের দায়িত্ব নিয়ে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখেছেন। তাঁর নেতৃত্বে সমগ্র দেশে আজ উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। তাঁর কার্যকরি নেতৃত্ব, সততা ও সাহসী মানসিকতার কারণে দেশ আজ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পৃথীবির বুকে স্থান করে নিয়েছে। আমি তাঁর সুস্থতা, আরো সফলতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি’। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। SHARES জাতীয় বিষয়: