প্রাথমিক শিক্ষায় সবচেয়ে পিছিয়ে সিলেট: জরিপ

প্রকাশিত: ৩:২৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২৩

সারা দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় এগিয়ে রয়েছে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পিছিয়ে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। তবে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এমন তথ্য প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ‘জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন-২০২২-এর জাতীয় প্রচারণা কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় জরিপের এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ আগস্ট) কক্সবাজারের তারকা হোটেল লং বিচের সম্মেলনকক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে ইউনিসেফের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শাহ রেজওয়ান হায়াতের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের চিফ অব এডুকেশন দীপা শংকর, ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ কাউন্সিলের শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা ও ডেপুটি টিম লিডার মো. গোলাম কিবরিয়া।

কর্মশালায় জানানো হয়, প্রতি দুই বছর অন্তর জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন জরিপ চালানো হয়। ২০১৭ সালের পর করোনার কারণে ২০১৯ ও ২০২১ সালে জরিপ স্থগিত ছিল। কিন্তু পূর্বের ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে আবারও জরিপ চালানো হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিনে জরিপে তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির গণিত ও বাংলা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন বিভাগের পঞ্চম ও তৃতীয় শ্রেণির ৫৪ হাজার ২৩২ জন শিক্ষার্থীর ওপর চালানো জরিপে উঠে এসেছে শিক্ষার্থীদের শিখনফল, মানসিক দক্ষতা, ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার্থীর অনুধাবন এবং কোন স্তরের প্রশ্নের উত্তরদানের দক্ষতা কত, সর্বোপরি তাদের সার্বিক ফলাফলের ওপর মূল্যায়ন। জরিপে শিখন ও সার্বিক ফলাফলে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা এগিয়ে রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় ঢাকা ও ময়মনসিংহ জেলার শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় এগিয়ে রয়েছে এবং সেই তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। তবে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে রয়েছে সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আরো জানানো হয়, জরিপে পড়ালেখার অগ্রগতি, শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ, জ্ঞান ও অনুধাবন স্তরের প্রশ্ন বোঝার দক্ষতা অর্জনে বিভিন্ন সুপারিশ রয়েছে। এর মধ্যেই রয়েছে দেশব্যাপী শিক্ষকের স্বল্পতা দূরীকরণে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদন, স্কুলে স্কুলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নেতৃত্বে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সুপারভিশন কার্যক্রম বৃদ্ধি, প্রাক্প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম আনন্দদায়ক করতে শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ, ক্লাস্টারভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ, স্কুল ফিডিং কার্যক্রম জোরদার করাসহ গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ রয়েছে।

শিক্ষাঙ্গন/আবির