প্রধান শিক্ষিকার আপত্তিকর ছবি তুলে টাকা দাবি

প্রকাশিত: ৬:৫৩ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২৩

 

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী প্রধান শিক্ষকের আপত্তিকর ছবি তুলে অর্থ দাবির অপরাধে এক ব্যক্তিকে জেল-জরিমানা করেছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম আবদুল আলিম (৪২)। নন্দীগ্রাম উপজেলার কহুল গ্রামে তার বাড়ি। আদালত তাকে একটি ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্য আরেকটি ধারায় আদালত তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানার এই অর্থ পরিশোধ না করলেও আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড। রায়ে আদালত উল্লেখ করেছেন, আলাদা দুটি ধারায় দেওয়া কারাদণ্ড একসঙ্গে চলবে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, অভিযুক্ত আবদুল আলিম সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট এবং তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত আছেন- এমন মিথ্যা পরিচয়ে ৩৮ বছর বয়সি ওই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। একপর্যায়ে ২০২১ সালের মার্চে ওই প্রধান শিক্ষকের বাসায় যান। এ সময় তিনি জোরপূর্বক শিক্ষকের আপত্তিকর ছবি তোলেন। এসব ছবি নিয়ে তিনি ওই শিক্ষকের কাছে টাকা দাবি করছিলেন।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ মামলার রায় দিলেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সারাদেশ/আবির