নতুন করে পানি ঢুকছে সিলেটের জকিগঞ্জে

প্রকাশিত: ৪:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২২

 

বন্যার পানি কমতে না কমতে ফের উজানের ঢল। নতুন করে সিলেটের জকিগঞ্জ দিয়ে ঢুকছে পানি। সুনামগঞ্জে বিশুদ্ধ পানি আর খাবারের অভাবে মানবেতর জীবন পাড় করছেন বানভাসিরা। অন্যদিকে উত্তরের জেলাগুলোতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তলিয়ে যাচ্ছে নতুন এলাকাসহ ফসলি জমি।

সিলেট নগরী থেকে পানি নামতে শুরু করলেও বন্যা কমেনি অন্য উপজেলাগুলোতে। আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই মিললেও পার করছেন মানবেতর জীবন।

এদিকে জকিগঞ্জ দিয়ে ঢুকছে উজানের ঢল। এতে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, এবং ওসমানীনগর। পানিবন্দি সেখানকার ৫ লাখ মানুষ।

এদিকে পাঁচদিন পর পানি কমতে শুরু করেছে সুনামগঞ্জে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট স্বাভাবিক হয়েছে। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক সচল। তবে উপজেলাগুলো এখনও বিচ্ছিন্ন।

বন্যায় দুর্বিসহ জীবন পার করছেন সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলার মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েও মিলছে না স্বস্তি। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও পানি সংকট।

তবে বন্যা কবলিতদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ত্রাণ পৌঁছে দিতে কাজ করছেন সেনা সদস্যরা।

মৌলভীবাজারের সদর, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ি ও বড়লেখার দুই লক্ষাধকি মানুষ পানিবন্দি। বন্যা দুর্গত উপজেলায় ১৫৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ৫০টিরও অধিক বিদ্যালয়ে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রবল ¯্রােতে যমুনার ডান তীর রক্ষা বাঁধের ভাঙন আরো বেড়েছে।

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বেড়েছে তিস্তার পানি। উপজলোর নতুন ১০টিসহ ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত।

উজানের ঢল আর অবিরাম বৃষ্টিতে গাইবান্ধার তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার দুশোরও বেশি গ্রাম প্লাবিত। চরম দুর্ভোগে বানভাসীরা।

জামালুপুরে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, জিঞ্জিরাম, ঝিনাইসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ৬ উপজেলার প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। বন্ধ রয়েছে অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি কমলেও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় পানি কমতে শুরু করলেও তলিয়ে আছে রাস্তা-ঘাট।

টাঙ্গাইলে যমুনা, ঝিনাই, ধলেশ^রীসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

সিলেট/আবির