ছাত্রদের বিপ্লবকে পুঁজি করে চাঁদাবাজি চলবে না: হাসনাত আবদুল্লাহ

প্রকাশিত: ৬:২২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪

 

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, মাঝখানে ঢাকার আন্দোলন থেমে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তখন চট্টগ্রাম থেকেই পুনরায় আন্দোলন বেগবান হয়েছে। চাটগাঁইয়া পোয়া মেডি পইল্লে লোয়া। সুতরাং চট্টগ্রামের ছেলেদের দমানো যাবে না। আমরা একসঙ্গে কাজ করব। আমরা সংকটকালীন সময়ে এক ছিলাম, এখনো আমাদের এক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন করতে কোনো সমন্বয়ক লাগেনি। এখনো কোনো সমন্বয়ক লাগবে না। চট্টগ্রামে এখন থেকে সবাই সমন্বয়ক এবং সবাই সহ-সমন্বয়ক।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনো বসে নেই। ফ্যাসিবাদের দোসররা আমাদের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভয় দেখিয়েছে। কিন্তু এটি সম্ভব হয়নি এবং সম্ভবও না। সরকার পতনের পর যখনই মন্দিরে হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তখন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা মন্দির পাহারা দিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা নানাবেশে ফিরে আসতে চাচ্ছে। তবে আমাদের এক থাকতে হবে। আমরা বুলেটের ভয় করিনি। চট্টগ্রামে অনেকেই পুলিশ-ছাত্রলীগের গুলির সামনে বুক পেতে শহীদ হয়েছে। তারপরও মাথানত করেনি।

তিনি বলেন, পুলিশ ভাইদের বলছি আপনারা কাজে ফিরে আসুন। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি হবে। সব পুলিশ ডিবি হারুন না। যারা ভালো পুলিশ, আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করব।

এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার দুপুর থেকে লালদিঘী ময়দানে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে। বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে মতবিনিময় সভা শুরু হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।

রোববার মতবিনিময় সভায় আসা শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. রিদুয়ান জুলাই-আগস্টের উত্তাল দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে বলেন, স্বৈরাচার পতনের একদিন আগে অর্থাৎ ৪ আগস্টও লালদিঘী এলাকায় আন্দোলন করেছি। ওইদিন ছাত্রলীগ-যুবলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর আক্রমণ করে। সেদিনের ভয়াবহতা আসলে অন্যরকম ছিল। তাদের অস্ত্রের মুখে আমাদের নিরস্ত্র সহপাঠীরা দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।

জাতীয়/আবির