চুরির অপবাদে দুই শিশুর শরীরে গরম পানি, কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৪:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২৩

কক্সবাজার চকরিয়ায় টাকা চুরির অপবাদে গরম পানিতে দুই শিশুর শরীর ঝলসে দেওয়ার অভিযোগে এক কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২২ মে) বিকেলে আব্দুস সালাম নামের এই কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত শনিবার ভোরে চকরিয়া উপজেলার রামপুরের ৪ নম্বর হোল্ডারে অবস্থিত চকরিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলরের মাছের ঘেরে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

শরীর ঝলসে যাওয়া দুই শিশু হচ্ছে- চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি লালব্রিজ এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে মনির উদ্দিন (১৪) ও একই এলাকার মোহাম্মদ ইউছুফের ছেলে মোহাম্মদ সিফাত (১৬)। তারা বর্তমানে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঝলসে যাওয়া মনির উদ্দিনের দাদা আব্দুল কাদের বলেন, ‘তার নিজের একটি নৌকা আছে। সেটি সিফাত চালায়। আরেকটি নৌকার মাঝি লাল মিয়ার সহকারি হচ্ছে মনির। শুক্রবার রাত একটার দিকে রির্জাভ ভাড়া নিয়ে নৌকা দুটি কাউন্সিলর আব্দুস সালামের মাছের ঘেরে যায়। সেখানে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে দুই কিশোরকে মারধর শেষে গরম পানি ঢেলে শরীর ঝলসে দেওয়া হয়। এঘটনায় পরদিন শনিবার রাতে থানায় এজাহার দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে সোমবার বিকালে কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, কাজ শেষে শ্রমিকদের ফের চোঁয়ারফাঁড়ি ঘাটে আনতে হবে এজন্য কাউন্সিলরের মাছের ঘেরের পাশে নৌকা নোঙর করে ঘুমিয়ে পড়ে ওই দুই শিশু। নিজের শার্টের পকেট থেকে ১৮ হাজার ৬০০ টাকা চুরি করেছে এমন অজুহাত তুলে শনিবার সকাল ছয়টার দিকে কিশোরদের মাছের ঘেরের টং ঘরে নিয়ে যান কাউন্সিলর সালাম। এসময় সালামের নেতৃত্বে মো. ছাদেক ও মো. নাছির উদ্দিন নামের দুই ব্যক্তিও দুই শিশুকে ব্যাপক মারধর করে টাকা চুরির স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করেন। তারা টাকা চুরির কথা স্বীকার না করায় সালাম তার শ্রমিক ছাদেককে কিশোরদের শরীরে গরম পানি ছুঁড়ে শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। এসময় ছাদেক গরম পানি দিয়ে দুই জনের শরীর ঝলসে দেয়।

চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার তফিকুল আলম বলেন, এঘটনায় পুলিশ একটি এজাহার পেয়েছে। এই ঘটনায় কাউন্সিলর আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সারাদেশ/আবির