চাপে পড়ে দুই প্রেমিকাকে একসঙ্গে বিয়ে The Daily Sylhet The Daily Sylhet প্রকাশিত: ২:০১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২২ দুই তরুণীর সাথে এক সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন প্রেমিক রোহিণী চন্দ্র বর্মণ ওরফে রনি (২৫)। ইতি রানীর সঙ্গে তিন বছর আর মমতা রানীর সঙ্গে ৫ মাসের সম্পর্ক রনির । ইতিকে না পারছেন বিদায় জানাতে আর মমতার মমতাকে না পারছেন ভুলতে। তাই দ্বৈত সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন দিব্যি। বিষয়টি জানাজানি হলে চাপে পড়ে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে দুই প্রেমিকাকে একসঙ্গে বিয়ে করতে বাধ্য হন প্রেমিক রনি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদার এলাকায়। স্থানীয়রা জানায়, ওই এলাকার যামিনী চন্দ্র রায়ের ছেলে রোহিণী চন্দ্র বর্মণের সঙ্গে উত্তর বলরামপুর এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রানীর প্রেমের সম্পর্ক তিন বছর ধরে। প্রায় ছয় মাস আগে একটি মন্দিরে গিয়ে গোপনে ইতিকে বিয়ে করে ওই তরুণ। এর পাশাপাশি উত্তর লক্ষ্মীদ্বার এলাকার টনো কিশোরের মেয়ে মমতার সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই তরুণ। গত ১২ এপ্রিল রাতে মমতার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তার পরিবারের লোকজন রোহিণী চন্দ্র বর্মণকে আটক করে রাখে। পরদিন ওই পরিবার তাদের বিয়ে দেন। এই খবর শুনে ১৩ এপ্রিল সকাল থেকে প্রথম প্রেমিকা ইতি রানি বাড়িতে অবস্থান নিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে। দুদিন পর মমতাসহ রনিকে তার বাড়িতে দিয়ে আসে মমতার পরিবারের লোকজন। এদিকে ইতির অনশন চলতেই থাকে। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাতে পরিবার বাধ্য হয়েই দুই প্রেমিকার সঙ্গেই রনির বিয়ে সম্পন্ন করেন। নানা নাটকীয়তার পরে এই বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় তিন পরিবারই খুশি। খুশি রনি ও তার দুই প্রেমিকা ইতি ও মমতাও। বুধবার দুই বধূর সাথে বরের ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কেউ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। আবারও ট্রল করছেন এই ছবি দিয়ে। এ বিষয়ে রনির মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। রনির বাবা যামিনী চন্দ্র বর্মণ বলেন, ছেলে মেয়ে কারো কোন আপত্তি নেই। তাই আমাদেরও কোন আপত্তি নেই। আমরা দুই মেয়েকেই মেনে নিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দিয়েছি। বলরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ওই দুই মেয়েকে নিয়ে গন্ডগোল চলছিল। পরে শুনেছি তারা দুই মেয়েকেই একসাথে পারিবারিকভাবেই বিয়ে দিয়েছেন। সিলেট/আবির SHARES সারা দেশ বিষয়: