কয়েকটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতে ষড়যন্ত্র করছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:২৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী বুধবার গণভবন থেকে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কতিপয় রাজনৈতিক নেতা দেশের কোনো সংকটপূর্ণ মুহূর্তে কখনোই জনগণের পাশে থাকেন না। জনগণের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে তারা অনেক বেশি ব্যস্ত থাকেন সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তুলতে। মি. মান্না, ড. কামাল হোসেন, কমিউনিস্ট পার্টি ও বাম দলগুলো আওয়ামী লীগ সরকারকে উচ্ছেদ করার আন্দোলন গড়ে তুলতে এখন বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন।

শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, আওয়ামী লীগ সরকার কি দোষ করেছে যে তারা সরকারকে উচ্ছেদ করতে চায়?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতিহার দিয়েছে এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। ‘ঐ ইশতিহারে আমরা রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিলাম। আমাদের বারবার নির্বাচিত করায় আমি দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ।

নির্বাচনী ইশতিহার অনুযায়ী দেশ তার লক্ষ্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে সময় আমরা আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী করছি, সে সময়েই আমরা আমাদের দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে পেরেছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমার প্রশ্ন হলো- তারা কি দেশের এই ক্রম-উন্নয়ন পছন্দ করছে না? মনে হচ্ছে সে জন্যই তারা এই সরকারের উচ্ছেদ ঘটাতে চায়।

তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং তৃণমূল পর্যায়ের ও গ্রামীণ এলাকার মানুষ তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে গৃহীত সরকারের পদক্ষেপের সুফল পাচ্ছে। এজন্যই তাদের শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করা প্রয়োজন। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন- আমাদের অপরাধটা কি?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষি ইস্যুতে গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে- যাতে করে দেশ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ইস্যুর পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদনে অধিকতর ইতিবাচক ফলাফল পেতে পারে।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকার দেশের গণমানুষের কল্যাণে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দেশের কৃষি ও কৃষকদের কল্যাণে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষি ও কৃষকদের ব্যাপারে অনেক বেশি আন্তরিক। কৃষকরা যেন ন্যায্য মূল্যে তাদের তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পেতে পারেন, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ড. এম এ জলিল, মোতাহার হোসেন মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানু ও হারুন অর রশীদ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কৃষক লীগের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

সিলেট/আবির